মার্কস কর্তৃক আবিষ্কৃত কমিউনিজমের বিজ্ঞানের পক্ষে হচ্ছে শ্রমিকের মুক্তির জন্য তথ্য কেন্দ্র

 মার্কস কর্তৃক আবিষ্কৃত

কমিউনিজমের বিজ্ঞানের পক্ষে হচ্ছে
শ্রমিকের মুক্তির জন্য তথ্য কেন্দ্র
মার্কস কর্তৃক আবিষ্কৃত কমিউনিজমের বিজ্ঞানের পক্ষে হচ্ছে শ্রমিকের মুক্তির জন্য তথ্য কেন্দ্র ।
তবে, এজন্য নয় যে মার্কস ছিলেন একজন অসাধারণ বা বিশিষ্ট নেতা বা বার্তাবাহক বা বিশ্ব সংস্কারক বরং তিনি ছিলেন একজন কমিউনিস্ট এবং পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদি-(১) পুনরুৎপাদন; এবং (২) সঞ্চালন হেতু পুঁজিতন্ত্রী বিকাশের অবিচ্ছেদ্য নীতি- উপনিবেশিক নীতি অনুসরণ ও অনুশীলন করার মাধ্যমে বিপ্লবী পুঁজিপতি শ্রেণী কর্তৃক জয়কৃত একটি বৈশ্বিক সমাজ- পুঁজিতন্ত্র কিন্তু শেষ ও চূড়ান্ত শ্রেণী বিভক্ত সমাজ এর প্রতিস্থাপন- কমিউনিজমের জন্য তিনি কাজ করেছেন।
বিপ্লবী শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক বিজিত , একটি প্রকৃতি নির্ভর, স্ব-নির্ভর এবং স্থানীয় তবে খুবই গরীব অর্থনীতির- সামন্ত সমাজের ধ্বংসস্তুপ হতে উত্থিত একটি বিশ্ব বাজার সহ অসংখ্য পণ্যের একটি আধুনিক সমাজ-পুঁজিতন্ত্রের ঐতিহাসিক পরিণতি- কমিউনিজম হচ্ছে সমানদের একটি বৈজ্ঞানিক সমাজ তাই, সমানদের একটি বৈজ্ঞানিক সমাজ- কমিউনিজমে প্রত্যেকের দ্বারা প্রত্যেকে সমানভাবে আচরিত হয় এবং সকলে হচ্ছে বিজ্ঞানী।
এবং তদানুযায়ী, কমিউনিস্ট মার্কস ছিলেন একজন বিজ্ঞানী এবং পুঁজির কোড ও সমাজ পরিবর্তনের কোড আবিষ্কারের মাধ্যমে তিনি কমিউনিজমের বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছিলেন এবং একজন কমিউনিস্ট হিসাবে সমতার বিরুদ্ধে যে সব বাজে বিষয়াদি আছে সে সব সমাপ্তি সাধনের জন্য তিনি ছিলেন মানবজাতির মধ্যকার সকল প্রকার বৈষম্য ও প্রভেদের বিরুদ্ধে।
শোষণমূলক পুঁজিতান্ত্রিক সমাজের শাসক শ্রেণী- পুঁজিপতি শ্রেণীর অস্তিত্বের শর্ত এবং পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদির হেতুবাদে পুঁজিতন্ত্রী উৎপাদন পদ্ধতির উপজাত হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞান। উল্লেখ্য, পণ্য বেচা-কেনার জন্য অসম প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি স্থান- বাজারের নিয়মাবলী অনুসরণ ও গ্রাহ্য করে উৎপাদনের যন্ত্রপাতির অবিরাম বৈপ্লবীকরণ ব্যতিত শোষক পুঁজিপতি শ্রেণী টিকতে পারে না।
অতঃপর, পুঁজিপতি শ্রেণী হিসাবে টিকে থাকতে কোনো কিছুর সৃষ্টি বা গঠন বা রূপান্তর বা পরিবর্তনের কোড- বিজ্ঞান প্রবর্তন করা বৈ কোনো পছন্দ বা বিকল্প ছিলনা বিপ্লবী পুঁজিপতি শ্রেণীর তাই, প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক প্রোডাক্টের কোড এবং সৃষ্টি ও পরিবর্তনের জন্য উপাদানগুলো জানতে ; এবং পুঁজি গঠনে নতুন- নতুন পণ্য উৎপন্ন ও বিক্রি করতে উৎপাদন ও পরিবহনের নতুন নতুন যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনে তারা বাধ্য ছিল। সেমতে, পুঁজি গঠনে পুঁজিতান্ত্রিক সমাজকে কার্যকরী রাখতে ইহার জন্য বিজ্ঞানী সমেত মানব যন্ত্রপাতি উৎপন্নে বিবৃত পুঁজিপতি শ্রেণী প্রবর্তন করেছিল আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতি।
অতঃপর, মাইথোলজির ভূয়ামি প্রমাণ করার মাধ্যমে এবং সেমতে, মানবজাতির ইতিহাসে প্রথম শ্রেণী বিভক্ত সমাজ- দাস সমাজের মাস্টারদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে দাসদেরকে স্থিরকরণের মাধ্যমে দাসদেরকে শোষণ করার মাধ্যমে একটি পরজীবী জীবন যাপন করতে তাদের সংকীর্ণ স্বার্থ সংরক্ষণে তাদের প্রতিপক্ষ ও শোষিত দাসদেরকে শাসন ও পীড়ন করতে শিকলবন্ধীকরণে তাদের অন্যায্য ও অন্যায় শাসন ক্ষমতাকে ন্যায্যতা দিতে সূর্য, পৃথিবী, জীবন, মানব সত্ত্বা, পরিবার, সমাজ, শাসক ইত্যাদি বিষয়ে বর্বর ও অন্ধকার দাস সমাজের স্বকেন্দ্রীক, সংকীর্ণ এবং বর্বর শাসকদের দ্বারা সৃজিত বানোয়াটি গালগল্প- পৌরানিক ধারণাকে অস্বীকার ও পরিত্যাগ করার মাধ্যমে শাসক পুঁজিপতি শ্রেণী হিসাবে টিকে থাকতে পুঁজিতন্ত্রী উৎপাদন পদ্ধতিকে সংরক্ষণে পুঁজিতন্ত্রী বিকাশের জন্য পুঁজিতন্ত্রী বাজারের নিয়মে পুঁজির দাস- পুঁজিপতি শ্রেণীর অপরিহারযোগ্য বাধ্যবাধকতায় পুঁজিপতি শ্রেণীর অপরিহার্য ও অনিবার্য প্রচেষ্টা ছিল বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক ধারণার বিকাশের কারণ।
বস্তুত, পুরাকথা কিছুই নয় বরং নিজেদেরকে দৈব অধিকারী হিসাবে দাবী করে রাজনৈতিক মোড়ল হিসাবে সমাজকে শাসনে তাদের ভূমিকাকে ন্যায্যতা দিতে পৃথিবী, জীবন, মানবজাতি, পরিবার, রাজনৈতিক ক্ষমতা ইত্যাদি সমেত সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে তারা অনেক মিথ্যা বলে অথচ তাদের সুযোগ ছিল না দৈহিক গঠনতন্ত্রকে জানার এবং এমনকি পৃথিবীর ব্যাস বা গতিময়তা বিষয়ে তারা ছিল সম্পূর্ণত অজ্ঞাত, তারা, সূর্য, পৃথিবী, জীবন, মানবজাতি ইত্যাদির উৎপত্তি বিষয়ে ছিল সম্পূর্ণত অজ্ঞাত তবে, দাসদের মালিকদের- একটি পরজীবী শাসক শ্রেণী সমেত একটি স্থানীয়,স্ব-নির্ভর , প্রকৃতি নির্ভর কিন্তু খুবই দরিদ্র অর্থনীতির - দাস সমাজের বর্বর শাসকদের বদমতলবজাত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তবে বানোয়াটি মূলে রচিত রাজনৈতিক গল্প অতঃপর, শোষিতকে নিপীড়নে রাষ্ট্রের প্রাথমিক রূপ- কিংডম সমেত রাজনৈতিক সংগঠন সমূহ সৃষ্টি করার মাধ্যমে দাস মালিকদের শোষণমূলক স্বার্থের সেবা করতে দাস সমাজের শাসকদের রাজনৈতিক বিবৃতি হচ্ছে পৌরাণিক গল্প সমগ্র।
ন্যায্য ও যৌক্তিক ছিল না কিন্তু দাস সমাজ ছিল অপরিহার্য অতঃপর, দাস প্রভু কর্তৃক দাসদেরকে অধীনস্ত ও নিয়ন্ত্রণ করতে মানুষ কর্তৃক মানুষের শাসন ছিল প্রয়োজনীয় এবং সেমতে, সম্পত্তির অন্যায্য ও অন্যায় ব্যক্তিগত মালিকানা এবং দাস মালিকদের শাসন ক্ষমতাকে ন্যায্যতা প্রতিপাদন ও গ্রহণযোগ্যতা দিতে দাসদেরকে তাদের দাসমালিকদের জন্য বেঁচে থাকতে এমনকি তাদের উৎপত্তি ও অস্তিত্ব সম্পর্কে দাসদের মধ্যে ভুয়া বোধ, ভুল ধারণা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার মাধ্যমে শাসন করতে দাস সমাজের শাসকদের তৈরীকৃত বদমতলবজাত ও বানোয়াটি মিথ্যার এক আটি- রাজনীতি ছিল আবশ্যকীয়।
বস্তুত, পার্থিব জীবনে নিশ্চিত নয় তবে দাসদেরও একটি বিলাসী ও আরামদায়ক জীবন অর্জনের জন্য দাসদেরও কল্যাণের জন্য তাদের প্রভুদের রক্ষা করতে একটা আবেগময়ী অনুভূতি সৃষ্টি করার মাধ্যমে দাসদেরকে প্রভাবিত করতে, সম্মোহন করতে এবং রাজী করাতে তাদের প্রভুদের স্বার্থে যদি প্রয়োজন হয় এমনকি তাদের জীবন হারিয়ে পূর্ণ আনুগত্য সমেত তাদের প্রভুদের সেবা করতে এমনকি তাদের জীবনের লক্ষ্য ও করণীয় বিষয়ে দাসদেরকে অবচেতন করতে এক কার্যকরী মাদক হিসাবে দাস সমাজের শাসকদের তৈরীকৃত রাজনীতি তার যাত্রা শুরু করেছিল।
তাই, চিন্তা করতে দাসদেরকে অসাড় করার মাধ্যমে পরজীবি দাসমালিকদের সংকীর্ণ স্বার্থের সেবা করতে রাজনীতি তার মিশন শুরু করেছিল শাসকদের বা গুরুজীদের বিবৃত ঘটনাবলী বিচার ও তুলনা করে বিশ্বাস করতে বা না করতে নয় বরং দাস সমাজের প্রবঞ্চক ও প্রতারক শাসকদের রাজনৈতিক ধারাণা ধারণ করার মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে কনভিন্সড একজন ব্যক্তি হয়ে যায় একজন বিশ্বাসী মানুষ কিন্তু বিশ্বাস হচ্ছে অন্ধ এবং সে মোতাবেক, একজন বিশ্বাসী মানুষ তার বিশ্বাসকে অনুসরণ, লালন-পালন ও গ্রাহ্য করার মাধ্যমে নিজেকে খুন করা সহ যেকোনো আজেবাজে কাজ করতে পারে।
বস্তুত, এরকম বিশ্বাসী মানুষেরা হচ্ছেন দাসত্ববোধের একজন মানুষ যিনি একজন প্রভু বা গাইড ছাড়া বাঁচতে পারেন না তাই, রাজনৈতিক দাসত্বের একজন মানুষ একজন নেতা ছাড়া তার জীবন যাপন করতে পারেন না।
অতঃপর, একজন দাসোচিত বোধের মানুষের নিকট একজন মাস্টার বা গুরু বা নেতা বা গাইড হচ্ছে এক গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যকীয় চরিত্র।
সুতরাং, দাসদেরকে দমন-পীড়ন করার জন্য রাজনীতি ছিল দাস মালিকদের খুবই কার্যকরী হাতিয়ার এবং পুঁজিতন্ত্রের মরণাপন্ন অবস্থার শর্তাধীনে বর্তমানে অক্ষম ও প্রতিক্রিয়াশীল তবে শোষক-শাসক শ্রেণী- পুঁজিপতি শ্রেণী এবং সকল বিষয়ে এমনকি দুনিয়ার সর্বাধিক ক্ষমতাশালী বস্তু-পুঁজি বিষয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নকে অবজ্ঞা করার মাধ্যমে প্রয়োগীক বোধ ও অবস্থাকে অস্বীকার করতে আবেগী বোধ তৈরী করতে এখনো রাজনীতি হচ্ছে খুবই কার্যকরী এক মাদক তাই, শোষিত মজুরি দাসদেরকে বিভ্রান্তকরণে, সম্মোহণে, বঞ্চিতকরণে, প্রতারণা ও অধীনস্তকরণে বর্বর দাস সমাজের বদমতলবী ও স্বভাবজাত মিথ্যাচারী এবং ভয়ংকর শাসকদের উৎপন্ন- রাজনীতি হচ্ছে এখনো খুবই কার্যকরী এক অস্ত্র।
অতঃপর, দমন ও পীড়নে এক সংগঠিত শক্তি বৈ রাজনীতি কিছুই না তাই, মানুষ কর্তৃক মানুষকে শিকল দিয়ে বাঁধতে, শাসন এবং পীড়ন করতে দাস সমাজের রাজনৈতিক মোড়লদের এক কৃত্রিম সৃষ্টি বৈ বর্বর ও অন্ধকার দাস সমাজের বর্বর, হিংস্র্র এবং ভয়ংকর শাসকদের পত্তনকৃত এক বান্ডিল মিথ্যা এমন কি রাজনীতি বিষয়ে তবে বর্বর, নিষ্ঠুর, কুৎসিত, জঘন্য এবং মিথ্যাবাদী শাসকদের কার্যকরী অস্ত্র-রাজনীতি আর কিছু নয়। সন্দেহ নাই, শাসিত ও শাসক শ্রেণী দ্বারা মানবজাতিকে বিভাজন করার মাধ্যমে মানবজাতির পরিচিতিকে অস্বীকার এবং বর্বরতার সর্বোচ্চ রূপ হচ্ছে মানুষ কর্তৃক মানুষকে শাসন করা।
সুতরাং, কোনো মানুষ সম্পত্তি নয় বিধায় দাসদেরকে শোষক প্রভুদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে নির্ধারণ করে মানবজাতির সত্তা ও মানকে অবজ্ঞা ও অস্বীকার করার মাধ্যমে চরম নিকৃষ্টতম কাজ- মানুষ কর্তৃক মানুষের শোষণকে ন্যায্যতা দিতে; এমনকি জন্মসূত্রে প্রত্যেকে সমানভাবে সমান কারণ প্রত্যেকেই জন্ম নিচ্ছে ২৩ জোড়া ক্রোমোজম হতে বিধায় মানবজাতির সাধারণ মান ও পরিচিতিকে অবজ্ঞা ও অস্বীকার করার মাধ্যমে শাসকদেরকে অসাধারণ ও অন্যান্যদেরকে সাধারণ হিসাবে নির্ধারণ করে বর্বরতার সর্বোচ্চ রূপ- মানুষ কর্তৃক মানুষের শাসনকে ন্যায্যতা দিতে; মানবজাতির উৎপত্তিকে অবজ্ঞা ও অস্বীকার করার মাধ্যমে শ্রেণী, শ্রেণী বিভাগ এবং শ্রেণী শাসনকে ন্যায্যতা দিতে; সামগ্রীকভাবে একটি মানব সত্তা হিসাবে মানব সত্তার পরিচয় হারিয়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তি রক্ষণে বৈধ উত্তরাধিকার উৎপন্নে স্বামীর প্রজনন মেশিন হিসাবে পুরুষের যৌন সামগ্রী হিসাবে মহিলাদেরকে ব্যবহার করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ও কৃত্রিমভাবে তবে উল্লেখিত সেক্সসূয়াল অংগাদির মাধ্যমে সেক্সের দ্বারা ব্যক্তির ভূমিকা নির্ধারণ করার মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংগের গুরুত্বকে অবজ্ঞা ও অস্বীকার করার মাধ্যমে এমনকি প্রজননের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম- এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেমকে না জেনে অবৈজ্ঞানিকভাবে দেহের কতিপয় অংগকে সেক্সসূয়াল অংগ হিসাবে নামকরণ করে এমনকি কতিপয়কে পুরুষ এবং কতিপয়কে মহিলা আর কতিপয়কে হিজড়া চিহ্নিত করার মাধ্যমে মানব জাতির মধ্যকার বৈষম্য ও প্রভেদকে ন্যায্যতা দিতে; এবং ক্ষতিকর তবে অযৌক্তিক,অন্যায় ও অন্যায্য ব্যক্তিগত সম্পত্তি দখল ও সংরক্ষণ করতে শাসক শ্রেণী এবং শাসকদের ভয়ংকরতা, হিংস্র্রতা, হত্যা, ধর্ষণ, মিথ্যাচার ইত্যাদি সমেত সকল দুস্কর্মকে ন্যায্যতা দিতে রাজনীতি তার যাত্রা শুরু করেছিল।
সুতরাং, সকল মন্দ নীতির সর্বোচ্চ নীতি বৈ রাজনীতি কিছুই নয়। অতঃপর, ইহা উদ্ভূত হয়েছে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে তবে শোষিতদেরকে সম্মোহনীকরণ ও বিভ্রান্তকরণের মাধ্যমে শোষকদের স্বার্থ দেখা ও রক্ষা করতে শোষক শাসক শ্রেণীর একটি কৃত্রিম সৃষ্টি হচ্ছে রাজনীতি। সুতরাং, ইহার জন্ম সূত্রে রাজনীতি হচ্ছে শোষক-শোষক শ্রেণীর একটি কার্যকরী, দরকারী এবং ধারালো অস্ত্র।
কিন্তু, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, আই এম এফ ইত্যাদি সহ সকল শোষণমূলক সংগঠন এবং রাষ্ট্র, রাজনৈতিক দল সমেত রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনীতি শেষ করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত সম্পত্তি, শোষণ, শ্রেণী ও শ্রেণী শাসন হতে মুক্ত সমানদের একটি বৈজ্ঞানিক সমাজ হচ্ছে কমিউনিজম তাই, সমাজতন্ত্রে প্রত্যেকে প্রত্যেকের দ্বারা সমানভাবে আচরিত হয় অতঃপর, কমিউনিজমে কোনো অবৈজ্ঞানিক ধারণা-বোধ, পুরাকথা, ধর্মবিশ্বাস, মতাদর্শ, দর্শন, রাজনীতি ইত্যাদি নাই সুতরাং, কমিউনিজমে প্রত্যেকে বিজ্ঞানী এবং সেমতে, দার্শনিক বা মতাদর্শী বা রাজনীতিক নয় বরং কমিউনিস্ট মার্কস ছিলেন একজন বিজ্ঞানী।
অতঃপর, একটি বৈষম্য মুক্ত সমাজ- পুঁজিতন্ত্রী সম্পত্তির স্ব-বিরোধী শর্তমূলে তবে মৃত শ্রম- পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদির হেতুবাদে পুঁজিতন্ত্রের বিলোপন ও কমিউনিজমের উত্থান যে সমানভাবে অনিবার্য ও অপরিহারযোগ্য তা বৈজ্ঞানিকভাবে জেনে-বুঝে একাকী শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক অর্জিত তা হচ্ছে পুঁজিতন্ত্রের ঐতিহাসিক পরিণতি- কমিউনিজমের জন্য কাজ করেছেন কমিউনিস্ট এবং সেমতো বিজ্ঞানী মার্কস। তাই, একটি শ্রেণীহীন সমাজ- কমিউনিজমের মাধ্যমে শ্রেণী সমূহের অস্তিত্বহীনতার দ্বারা শ্রমিক শ্রেণী সমেত শ্রেণীসমূহের ঐতিহাসিক পরিণতি বিষয়ে মার্কস কেবল নিশ্চিত ছিলেন না বরং নিশ্চিতভাবে নিশ্চিত ও বদ্ধমূলও ছিলেন। সুতরাং, খুবই দৃঢ়তার সাথে কমিউনিজমের জন্য কাজ করেছিলেন কমিউনিস্ট মার্কস।
উল্লেখ্য, পুনরোৎপাদন ও সঞ্চালন ছাড়া পুঁজি বিদ্যমান থাকতে পারে না। কিন্তু, পুনরোৎপাদনের ফলাফল হচ্ছে অতিরিক্ত উৎপাদন, এবং অতি উৎপাদনের ফল হচ্ছে মজুত অর্থাৎ মন্দা, এবং মন্দার ফল হচ্ছে সঞ্চালনে ব্যাঘাত সেমতো, নৈরাজ্য এবং এরকম নৈরাজ্যের ফলাফল হচ্ছে শ্রম ও রাজনৈতিক অস্থিরতা, দাংগা, যুদ্ধ এবং যুদ্ধ -যুদ্ধ অবস্থা, হত্যা, দেউলিয়াপনা, কোম্পানীসমূহের একত্রীকরণ ইত্যাদি ইত্যাদি দ্বারা পুঁজিপতি শ্রেণীর অসংখ্য সংকট ও সমস্যাদি সমেত ব্যক্তিগত মালিকানার ক্ষতির কারণ।
অতঃপর, পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদির দ্বারা পুঁজিতন্ত্রের অনিরাময়যোগ্য ও অপরিহারযোগ্য ব্যাধি- মন্দার পরিণতি হচ্ছে সম্পত্তির ব্যক্তিগত মালিকানা সংকোচন এবং সকল আবশ্যকীয় খুঁটি সমেত সামাজিক মালিকানার পথ প্রশস্তকরণ।
পরিশেষে, উদ্বৃত্ত-মূল্য- পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদির দ্বারা একাকী শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক একটি কমিউনিস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে সম্পত্তির পুঁজিতান্ত্রিক মালিকানা বিলোপনের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র অর্থাৎ উৎপাদন, পরিবহন ও যোগাযোগের উপায়াদির সামাজিক মালিকানা হচ্ছে পুনঃপুন মন্দার পরিণতি। সুতরাং, পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে শেষ ও চূড়ান্ত শ্রেণী বিভক্ত সমাজ তাই, প্রেমিক ও বন্ধুদের একটি মানবিক, প্রেমময় ও বন্ধুবৎসল সমাজ- কমিউনিজমের ভিত্তি হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র।
অতঃপর, পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদি এবং পুঁজিপতি শ্রেণীর অস্তিত্বের শর্তে বিপ্লবী শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক সম্পাদিত তবে প্রতিক্রিয়াশীল ও অক্ষম পুঁজিপতি শ্রেণী কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া কমিউনিস্ট বিপ্লবের দ্বারা প্রতিক্রিয়াশীল পুঁজিপতি শ্রেণী সমেত পুঁজিতন্ত্রী পদ্ধতি ও পুঁজি উভয়টি বিলীন করবে পুঁজিপতি শ্রেণীর উৎপন্ন তবে শোষক শ্রেণীর কবর খোদক- শ্রমিক শ্রেণী।
ইহা আমাদের আনন্দ যে আমরা আই সি ডব্লিউ এফের (#icwf) সদস্যরা দুনিয়ার সকল রাজনৈতিক সীমানা মুছে দেওয়ার জন্য বিপুল শিকলের এক বড় বান্ডিল- রাষ্ট্র সমেত ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে উৎপত্তিকৃত সকল শিকল বিলীন করার জন্য শ্রমিক শ্রেণী ইহার বৈশ্বিক একতাবদ্ধ ক্রিয়া দ্বারা কমিউনিস্ট সমাজ নিশ্চিতকরণে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করার মাধ্যমে দুনিয়ার সকলের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য সর্বোত্তম ভবিষ্যতের একমাত্র আশা- শ্রমিক শ্রেণীর সাথে আছি।
বস্তুত, পুঁজিতন্ত্রী শোষকদের শোষণ ; পুঁজিতন্ত্রী সম্পত্তির মালিকদের সৃষ্ট দুর্দশা, কষ্ট, দুর্ভোগ; এবং মানুষ কর্তৃক মানুষকে শাসন, পীড়ন ও দমন করতে বর্বর শাসকদের তৈরীকৃত সকল শিকল হতে নিজের মুক্তির জন্য পুঁজির অস্তিত্বের শর্তে শ্রমিক শ্রেণী হচ্ছে মানবজাতির সর্বোত্তম ভবিষ্যত নির্মাতা। অতঃপর,কেবলমাত্র এবং একমাত্র বিপ্লবী শ্রেণী নয় বরং নিজের মুক্তির জন্য প্রত্যেকের রাজনৈতিক এমনকি সেক্স দ্বারা পরিচিতি মুছে ফেলার মাধ্যমে পূর্ণ মানবিকতার বোধ সম্পন্ন একটি এক ও অবিভাজ্য মানবজাতি সহ দুনিয়ার সকলের মুক্তি ও স্বাধীনতার একটি সমাজ- কমিউনিজম বিজয় করার মাধ্যমে সমগ্র সমাজকে মুক্ত করার মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতির মুক্তিদাতা হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণী। উল্লেখ্য, একটি রাজনৈতিক পরিচিতি বৈ একজন ব্যক্তির সেক্সসূয়াল পরিচিতি আর কিছুই নয়। সুতরাং, প্রকৃত বা বিজ্ঞান সম্মত নয় বরং সেক্স দ্বারা একজন ব্যক্তির পরিচিতি হচ্ছে কৃত্রিম তাই, সেক্স দ্বারা একজন ব্যক্তির পরিচিতি কেবলমাত্র মানবজাতির সত্তা অস্বীকৃতি নয় বরং লজ্জাজনক সুতরাং, সেক্স দ্বারা একজন ব্যক্তির পরিচিতি হচ্ছে তার স্বাভাবিক জীবন ও স্বাভাবিক কার্যাদির বিরুদ্ধে এবং সেমতে, সেক্স দ্বারা একজন ব্যক্তির পরিচিতি হচ্ছে মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক।
সুতরাং, একটি একক ও অবিভক্ত মানবজাতি সহ একটি বৈজ্ঞানিক সমাজ- কমিউনিজমের জন্য সকল প্রকার রাজনৈতিক এমন কি সেক্স ভিত্তিক পরিচিতি বিলুপ্তকরণে পুঁজিতন্ত্রকে বিলোপনে ইতিহাসের অগ্রবর্তী শক্তি - বিপ্লবী শ্রমিক শ্রেণীর সহিত থাকছে শ্রমিকের মুক্তির জন্য তথ্য কেন্দ্র ।
নিশ্চিতভাবে নিশ্চিত, একটি বৈশ্বিক তবে অত্যাধুনিক সমাজ- কমিউনিজমের জন্য একাকী শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক একটি কমিউনিস্ট বিপ্লবের জন্য ছিলেন মার্কস ও এ্যাংগেলস।
শোষণের ফল- পুঁজির জন্ম শর্তে শ্রমিক শ্রেণীর শোষক হচ্ছে পুঁজিপতি শ্রেণী। তাই, পুঁজির জন্ম শর্তে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণী ও শোষিত শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে বিরোধ ও বৈরীতা বিরাজমান। সুতরাং, পণ্যের অপরিশোধিত অংশ- পুঁজির মালিক নয় কিন্তু পুঁজির উৎপাদক - শ্রমিক শ্রেণী আর উৎপাদন ও বিনিময়ের উপায়াদি- সম্পত্তির পুঁজিতান্ত্রিক মালিকানা ধারণ করার মাধ্যমে পুঁজির মালিক- পুঁজিতন্ত্রী শ্রেণীর বিরোধের কারণ- পুঁজি বিলুপ্ত করা ব্যতিত উভয় শ্রেণীর দ্বন্দ্বের সমাধান করার আর কোনো বিকল্প নাই।
সুতরাং, পুঁজির জন্ম সূত্রে পুঁজিপতি শ্রেণী ও শ্রমিক শ্রেণীর বিরোধ হচ্ছে একটি জীবন্ত ও চলমান বিষয় কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে কথিত বিরোধ চিরকাল থাকবে। বরং, পূর্বেকার ২ টি শ্রেণী বিভক্ত সমাজ যে কারণে এখন বিদ্যমান নয় ঠিক সেই কারণে পুঁজিতন্ত্র তার চূড়ান্ত পরিণতি মোকাবেলা করবে।
সন্দেহ নাই, পুঁজি গঠনে পণ্য উৎপন্নে দুনিয়ার শ্রম-শক্তির ক্রেতা-বিক্রেতাদের চূড়ান্ত বিরোধ হচ্ছে কমিউনিস্ট বিপ্লব। বেচা-কেনা মুক্ত, কমিউনিস্ট সমাজ দ্বারা বেচা-কেনা ভিত্তিক খুবই মন্দ পুঁজিতন্ত্রী সমাজ প্রতিস্থাপনের দ্বারা এধরণের দ্বন্দ্ব শেষ করবে কমিউনিস্ট বিপ্লব তাই, পুঁজিতন্ত্রী মালিকানার স্বাভাবিক গতিপথ দ্বারা কমিউনিস্ট বিপ্লব হচ্ছে অনিবার্য ও অপরিহার্য কারণ, শ্রম শক্তির ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বিরোধ বিদ্যমান কারণ, পুঁজি গঠনে পণ্য উৎপন্নে শ্রম শক্তির বিক্রেতাকে মজুরি প্রদান করার মাধ্যমে শ্রম-শক্তির ক্রেতারা হচ্ছে শোষক আর শ্রম-শক্তির দাম- ইহা উৎপন্নের খরচ- মজুরী গ্রহণ করার মাধ্যমে কিন্তু মূল্য অতঃপর , উদ্বৃত্ত-মূল্য অর্থাৎ অপরিশোধিত শ্রম- পুঁজি উৎপন্নকরণের মাধ্যমে শ্রম-শক্তির বিক্রেতারা হচ্ছে শোষিত।
উল্লেখ্য, পণ্যের ২টি উপাদানের একটি- প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহারিক মূল্য আছে কিন্তু ইহার বিনিময় মূল্য নাই তাই, একটি পণ্যের দাম হচ্ছে পণ্যের অপর উপাদান - শ্রম।
সুতরাং, একটি পণ্যের অপরিশোধিত অংশ অর্থাৎ অপরিশোধ শ্রম- পুঁজি হচ্ছে শোষিত মজুরী দাসদের ফলন অথচ, পুঁজির মালিক হচ্ছে পুঁজিপতি শ্রেণী যা হচ্ছে সম্পূর্ণত অন্যায় ও অন্যায্য যদিচ অন্যায় পুঁজিতন্ত্রী সমাজের শাসকদের রচিত শোষকদের আইনে বৈধ।
শোষক-শেষিতদের মধ্যকার সম্পর্ক হচ্ছে বৈরীতামূলক তাই, মৃত শ্রম- পুঁজির জন্মশর্তে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণী আর শোষিত শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যকার বিরোধ হচ্ছে সম্পূর্ণত স্বাভাবিক। সুতরাং, পুঁজির জন্ম শর্তে কমিউনিস্ট বিপ্লব হচ্ছে অনিবার্য ও অপরিহার্য কিন্তু একাকী এক দেশে কমিউনিস্ট বিপ্লব সম্ভব নয় কারণ, না স্থানীয় নয় জাতীয় কিন্তু পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে একটি বৈশ্বিক সমাজ তাই, একাকী এক দেশে বৈশ্বিক পুঁজিতন্ত্রের প্রতিস্থাপন সম্ভব নয় সুতরাং, পুঁজিতন্ত্রের প্রতিস্থাপন- সমাজতন্ত্র/ কমিউনিজম একাকী এক দেশে সম্ভব নয় অতঃপর, বৈশ্বিক পুঁজিতন্ত্র প্রতিস্থাপনে দুনিয়ার এযাবৎকালের বড়, এযাবৎকালে গুরুত্বপূর্ণ এবং এযাবৎকালের প্রভাব বিস্তারক ঘটনা- কমিউনিস্ট বিপ্লবের পরিসীমা না স্থানীয় না জাতীয় তবে বিশ্বজনীন।
উল্লেখ্য, পুঁজিতন্ত্রী বিকাশের অবিচ্ছেদ্য নীতি- উপনিবেশিক নীতি অনুশীলন করার মাধ্যমে বিপ্লবী পুঁজিপতি শ্রেণী বিবৃত প্রাক-পুঁজিতন্ত্রী সমাজগুলোর শাসকদের পরাজিত করার মাধ্যমে স্ব-নির্ভর তবে খুবই দরিদ্র এবং পশ্চাৎপদ স্থানীয় অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করার মাধ্যমে অজানা পৃথিবীকে জয় করার মাধ্যমে একটি বিশ্ব বাজার সৃষ্টি করার মাধ্যমে পত্তনকৃত পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে একটি বৈশ্বিক পদ্ধতি।
নিশ্চয়ই, উপরে উল্লেখিত পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদির হেতুবাদে পুঁজিতন্ত্রের বিকাশের জন্য অবিচ্ছেদ্য শর্ত ছিল উপনিবেশিক নীতি। অতঃপর, উপনিবেশিক নীতি ছিল বিপ্লবী পুঁজিপতি শ্রেণীর প্রগতিশীল নীতি। কিন্তু, পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদিতে, মন্দা পরিহারে আই এম এফ ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু মরণাপন্ন পুঁজিতন্ত্রকে সংরক্ষণে পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বায়নের রাজনীতি অনুশীলন করার মাধ্যমে মন্দাকে পরিহার করে একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র - আই এম এফ কর্তৃক বিশ্ব অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে আই এম এফ সমেত বেশ কিছু বৈশ্বিক সিন্ডিকেটের শাসনাধীনে, পুঁজিতন্ত্র এখন মরণাপন্ন অবস্থায় আছে।
অতঃপর, পুঁজিতন্ত্রের পূর্ণ বিকশিত অবস্থার পর উপবিনেশিকতার নীতি তার উপযোগিতা হারিয়েছে এবং তদানুযায়ী, প্রাক-পুঁজিতন্ত্রী সমাজগুলোর সুবিধাভোগী- শাসকেরা, মাস্টারস এবং লর্ডসরা - দৈব শক্তির অধিকারীদের রাজনীতিকে পরাজিত করতে বিপ্লবী পুঁজিপতি শ্রেণী কর্তৃক সৃজিত গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য রাজনৈতিক পলিসি- ইহলৌকিকতার নীতি সমেত পুুঁজিতন্ত্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থা- গণতন্ত্রের মরণাবস্থা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বিবৃত বৈশ্বিক সংগঠনগুলোর শাসনাধীনে রাষ্ট্রের ডিফ্যাংক্ট অবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে অক্ষম পুঁজিপতি শ্রেণীর নীতি হচ্ছে পুঁজিতন্ত্রী বিশ্বায়নের রাজনীতি।
তাই,প্রাক-পুঁজিতন্ত্রী সমাজগুলোর রাজনীতির নিকট আশ্রয় নিয়ে বর্তমানে প্রতিক্রিয়াশীল পুঁজিপতি শ্রেণী ফ্যাসিবাদী ও ধর্মান্ধতার রাজনীতি অনুশীলন করছে এবং সেমতে ইতিহাসের গর্তে বাস করছে অক্ষম পুঁজিপতি শ্রেণী তবে পুনঃপুন ভোগছে পুঁজিতন্ত্রের নিরাময় অযোগ্য ব্যধি- মন্দা - বিপুল পণ্যের বিশাল মজুতের বিশাল ভরের ভয়ানক চাপে সুতরাং, সামগ্রীকভাবে পুঁজিপতি শ্রেণী ভোগছে উন্মত্ততায় এবং তদানুযায়ী, কম-বেশ সমগ্র পৃথিবীতে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, নৈরাজ্য ইত্যাদি জারী আছে তাই, শোষক পুঁজিপতি শ্রেণী অতীত অপেক্ষা অনেক বেশী ভয়ংকর ও হিংস্র্র।
তবু, রাতের বেলায় একটি পরিকল্পিত সামরিক ক্যূদেতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, রাষ্ট্রীয় পুঁজিতন্ত্রের একটি রাষ্ট্র- ইউ এস এস আরের মূল প্রতিষ্ঠাতা-লেনিন সমেত বিভিন্ন রাজনীতিকের রাজনীতি ধারণ করানোর শাধ্যমে দুনিয়ার মজুরদেরকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত রাখতে এখনো সমর্থ হচ্ছে খুবই জঘন্য ও বর্বর পুঁজিপতি শ্রেণী। অতঃপর, একাকী শ্রমিক শ্রেণীর একটি বলপূর্বক ক্রিয়া- কমিউনিস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে সমগ্র সমাজকে মুক্ত করার মাধ্যমে শ্রমিক শ্রেণীর মুক্তি অর্জনের জন্য সম্পত্তির পুঁজিতান্ত্রিক মালিকানা বিলোপনে বিবৃত চরম প্রতিক্রিয়াশীল পুঁজিপতি শ্রেণীকে বাতাসে নিক্ষেপ করতে এই শ্রেণীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে দুনিয়ার শ্রমিকেরা একতাবদ্ধ নয়।
এমনকি, কমিউনিজমের বিজ্ঞানকে বিবেচনায় নিয়ে শোষিত শ্রমিক শ্রেণী নিজের মুক্তির জন্য সকল প্রকার দুর্দশা, দুর্ভোগ, কষ্ট ইত্যাদির কারণ- সম্পত্তির পুঁজিতান্ত্রিক মালিকানাকে বিলোপকরণের মাধ্যমে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণীকে বিলুপ্ত করার মাধ্যমে সমগ্র সমাজকে মুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করছে না শ্রমিক শ্রেণী। বরংচ, শ্রমিক শ্রেণীর এক ভগ্নাংশ কেবলমাত্র দাস সমাজের রাজনীতি নয় বরং তথাকথিত জাতীয় মুক্তি ও রাষ্ট্রীয় পুঁজিতন্ত্রের রাজনীতি তবে কমিউনিজমের দূষণ-বিষাক্ত লেনিনবাদের রাজনীতিও এখনো ধারণ করে আছে। কিন্তু, এই সব রাজনীতি দুনিয়ার শ্রমিকদেরকে দেশ দ্বারা, জাতি দ্বারা, নৃতাত্ত্বিকতা দ্বারা, বর্ণ দ্বারা, সেক্স দ্বারা, ধর্ম ইত্যাদি ইত্যাদি দ্বারা বিভাজন করতে খুবই কার্যকরী ; এবং শ্রমিক শ্রেণীর শ্রেণী স্বার্থকে অবজ্ঞা করতে ইহার শ্রেণী পরিচিতি অস্বীকার করতে খুবই সহায়ক। সুতরাং, শোষক পুঁজিপতি শ্রেণীর বিরুদ্ধে শোষিত শ্রমিক শ্রেণীর শ্রেণী সংগ্রামকে অবজ্ঞা ও অস্বীকার করতে লেনিনবাদ খুবই সহায়ক।
কিন্তু, শোষণের ফল- পুঁজি গঠনে পণ্য উৎপন্নে লেনিন তার রাষ্ট্র -খুবই নিকৃষ্ট পুঁজিতন্ত্রের একটি নিকৃষ্ট রূপ-রাষ্ট্রীয় পুঁজিতন্ত্রের একটি রাষ্ট্র কিন্তু ক্ষয়িষ্ণু পুঁজিতন্ত্রকে রক্ষা করতে সমাজতন্ত্র ও সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব বিষয়ে শ্রমিকদেরকে বিভ্রান্তকরণে লেনিন ইহাকে সমাজতন্ত্র দাবী করেছিল যা ছিল সম্পূর্ণত মিথ্যা, অসত্য ও ভুয়া তবে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রাজনৈতিক প্রচারণা তবে এর প্রধান নির্বাহী হিসাবে তার রাষ্ট্রের মজুরি দাসদের শ্রম-শক্তির প্রধান ক্রেতা হিসাবে শোষকদের একজন গ্যাং লিডার - লেনিনের শিষ্যরা জাতি ও দেশ দ্বারা দুনিয়ার শ্রমিকদেরকে বিভাজন করতে এমনকি ইউ এস এস আর এবং অন্যান্য কথিত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর পতনের পর এখনো তারা চিৎকার করছে যে তারা হচ্ছে সমাজতন্ত্রের পক্ষে । কিন্তু, পেশাগত কারণে উদ্দেশ্যজাত মিথ্যাবাদী তবে বর্বর দাস সমাজের বর্বর শাসকদের রাজনৈতিক বোধ ধারণ করার মাধ্যমে মার্কসকে একজন মহান মতাদর্শী, দার্শনিক এবং একজন অসাধারণ মানুষ হিসাবে সনাক্তকরণ এবং বিজ্ঞানী মার্কস কর্তৃক আবিষ্কৃত কমিউনিজমের বিজ্ঞানকে অবজ্ঞা ও অস্বীকার করার মাধ্যমে তথাকথিত মার্কসবাদের রচয়িতা হিসাবে কমিউনিস্ট মার্কসকে চিহ্নিত ও অবমূল্যায়িত করে তারা তাদেরকে মার্কসবাদী দাবী করছে। উল্লেখ্য, চারিত্রিকভাবে নিষ্ঠুর ও নোংরা মানুষদের একটি সংমিশ্রণ-রাজনৈতিক শাসকদের পেশা হচ্ছে রাজনীতি।
উপরন্ত, লেনিনবাদীরা দাবী করছে যে মার্কসবাদের ক্রমবিকাশ হচ্ছে লেনিনবাদ কিন্তু দুঃখিত, কথিত মার্কসবাদ যা চূড়ান্তভাবে লেনিনবাদ হিসাবে বিকশিত হয়েছে লেনিনবাদের রচয়িতা- লেনিন কর্তৃক তা মার্কস যে বইতে বিবৃত করেছেন তার নাম এখনো উল্লেখ করতে পারেনি কোনো লেনিনবাদী। এমনকি, লেনিনকে একজন মহান মার্কসবাদী বলে দাবী করার মাধ্যমে ইউ এস এস আর কে লেনিনের মস্তিষ্কজাত সন্তান হিসাবে বলতে লজ্জা বোধ করে না কোনো লেনিনবাদী।
পানির কোড হচ্ছে এইছ ২ ও। অতঃপর, ভাবাদর্শ নয় বরং পানির বিবৃত কোড হচ্ছে বিজ্ঞান। অপরিশোধিত শ্রম হচ্ছে পুঁজি এবং ইহা হচ্ছে মার্কস কর্তৃক আবিষ্কৃত পুঁজির কোড। অতঃপর, ভাবাদর্শী নয় বরং পুঁজির কোড এবং সমাজ পরিবর্তনের কোড আবিষ্কার করার মাধ্যমে কমিউনিজমের বিজ্ঞান আবিষ্কার করে মার্কস ছিলেন একজন বিজ্ঞানী। সুতরাং, বিজ্ঞানী মার্কস এবং তার আবিষ্কার বিষয়ে লেনিনবাদীরা হচ্ছে সম্পূর্ণত মিথ্যাবাদী।
কোনো বিজ্ঞানী তার নিজের মস্তিষ্ক হতে কোনো কিছু উৎপন্ন করতে পারে না। নিশ্চয়ই, সিদ্ধান্ত ও চিন্তা করতে মস্তিষ্ক হচ্ছে একমাত্র অংগ কিন্তু স্বাধীনভাবে নয় বরং প্রত্যেকের চিন্তা করার জন্য নির্ণায়ক ফ্যাক্টর হচ্ছে সমাজের বিদ্যমান শর্তাদি।
যাহোক, ইতিপুর্বে যথারীতি উল্লেখিত হয়েছে যে পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদি এবং পুঁজিপতি শ্রেণীর অস্তিত্বের শর্তে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সমেত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং অনেক বিজ্ঞানীর উৎপাদক হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র- একটি আধুনিক সমাজ।
কিন্তু, ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভিত্তিক, অগণন পণ্যাদির একটি সমাজ-পুঁজিতন্ত্রকে পরিচালনা ও রক্ষা করতে এবং পুঁজিপতি শ্রেণীর সংকীর্ণ স্বার্থ হাসিল করতে বাজারে পণ্যাদি বিক্রি করার মাধ্যমে পুঁজি গঠনে পণ্য উৎপাদনে বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণী তাই, পুঁজিতন্ত্রী সম্পত্তির সংকীর্ণ স্বার্থ দ্বারা পুঁজিপতিরা শিকলবন্দী এবং সেমতো, সামগ্রীকভাবে পুঁজিপতি শ্রেণী তাদের ক্ষুদ্র স্বার্থে অন্ধ তাই, তারা এক চোখা সুতরাং, পুঁজিতন্ত্রী বিষয়াদিকে খোলা-খোলিভাবে ও মুক্তভাবে দেখতে তারা মুক্ত নয় সুতরাং, সমাজে বৈজ্ঞানিকবোধ বিকাশে পুঁজিপতিরা প্রস্তুত নয় বরং, শাসক শ্রেণীকে মান্য ও গ্রাহ্য করার মাধ্যমে এমনকি শোষিত ও শাসিত শ্রেণীগুলো ভাল জীবন যাপনে বিশ্বাস ও ভাগ্যে বিশ্বাস করতে কনভিন্স করতে একটি দরকারী অস্ত্র- দাস ও সামন্ত সমাজের রাজনীতি দ্বারা পুঁজিতন্ত্রী বিষয়াদি যেমন- পণ্য, পুঁজি, পুঁজির মালিকানা ও পুঁজিতান্ত্রিক সম্পত্তি, পুঁজিতন্ত্রী সামাজিক সম্পর্ক, শ্রেণী ও শ্রেণী সম্পর্ক এবং শ্রেণী সংগ্রাম ইত্যাদির প্রকৃত সত্য সম্পর্কে পুঁজিপতি শ্রেণীর কবর খোদক তবে পুঁজিপতি শ্রেণীর উৎপন্ন- শ্রমিক শ্রেণীকে বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে পুঁজিপতি হিসাবে টিকে থাকতে বিজ্ঞান ও সমাজের বৈজ্ঞানিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করতে বৈজ্ঞানিক ধারণাকে দূষিত করতে তারা অনেক অনেক রাজনৈতিক সারবস্তু সৃজন করছে ও ছড়াচ্ছে।
অতঃপর, পুঁজিতন্ত্র একটি বিজ্ঞান পক্ষপাতি, বিজ্ঞান বান্ধব এবং বিজ্ঞান প্রেমী সমাজ নয় এবং পুঁজিপতি শ্রেণী একটা বিজ্ঞান বান্ধব শ্রেণী নয় যদিচ পুঁজিপতি শ্রেণী হিসাবে অস্তিত্বমান থাকতে উৎপাদনের যন্ত্রপাতির অবিরামভাবে বিপ্লবীকরণের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা ব্যতীত কোনো বিকল্প নাই পুঁজিপতি শ্রেণীর অতঃপর, বিজ্ঞান বিষয়ে ইহা হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র ও পুঁজিতন্ত্রী শ্রেণী উভয়ের স্ব-বিরোধী অবস্থান।
বিজ্ঞান কোনো ব্যক্তিগত জিনিষ নয় বরং বিজ্ঞান হচ্ছে সার্বজনীন যদিচ পুঁজিপতি শ্রেণী কর্তৃক এখনো আটক। যাহোক, বিজ্ঞান হচ্ছে কার্যকর তাই, বিজ্ঞানের কার্যকরতার শর্তে এ যুগের অকার্যকর পুঁজিতন্ত্র এবং ইহার দ্বিমুখি মান এবং অক্ষম পুঁজিপতি শ্রেণী পরাজয় বরণ করবে সুতরাং, রাজনীতি, পুরাকথা, ভাবাদর্শ ইত্যাদি নয় বরং বিজ্ঞান জিতবে।
মার্কস ছিলেন একজন বিজ্ঞানী তাই, পুঁজিতন্ত্র ও কমিউনিজম বিষয়ে কিছুই তার মস্তিষ্ক প্রসূত নয় অথবা, কমিউনিজম নয় তার মতামত বা দর্শন বরং তিনি চিন্তা করেছিলেন পূর্ণ বিকশিত পুঁজিতন্ত্র- সমাজটির বাস্তবতা হতে। কমিউনিজম বিষয়ে মার্কস ও এ্যাংগেলস উভয়ে অনেক অনেক বিষয় লিখেন নাই তবে সামাজিক ঘটনাবলী বৈজ্ঞানিকভাবে পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে তারা যা সূত্রায়িত করেছিলেন তেমন কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সূত্র লিখেছিলেন এবং সেমতো পুঁজিতন্ত্রের পরিণতি হিসাবে সেগুলোকে ক্যালকূলেট করেছিলেন।
কমিউনিস্ট নীতির সূত্রায়ণ বিষয়ে মার্কস ও এ্যাংগেলস উভয়ের লিখিত কমিউনিস্ট পার্টির ইস্তেহারে খুব সঠিকভাবে বিবৃত হয়েছে যা এই: “ কমিউনিস্টদের তাত্ত্বিক সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই এমন কোনো সংকল্পনা বা নীতি ভিত্তিক নয়, যেটি বা এটি হবে বিশ্ব সংস্কারক কর্তৃক আবিষ্কৃত ও উদ্ঘাটিত।” পার্ট-২,পেজ-৩৭, ICWF কর্তৃক প্রকাশিত, @www.icwfreedom.com
এবং একই বইতে তারা আরো লিখেন এই: “ ধর্ম, দর্শন ও সাধারণভাবে একটা আদর্শিক অবস্থান হতে কমিউনিজমের বিরুদ্ধে তৈরীকৃত অভিযোগ গভীর পরীক্ষার উপযুক্ত নয়।” পার্ট-২, পেজ-৪৮।
আবার, একই বইতে বিবৃত হয়েছে যা এই: “ ........ ; প্রলেতারিয়েতের স্বার্থ নয়, বরং মানব প্রকৃতির স্বার্থ, সাধারণভাবে মানুষের, যে কোনো শ্রেণীতে অবস্থান করে না, যার কোনো বাস্তবতা নাই, যে কেবলমাত্র দার্শনিক অলীক কল্পনার কুয়াশাচ্ছন্ন জগতে বিদ্যমান।” পেজ-৬০।
অতঃপর, উপরোক্ত বিবৃতি হতে ইহা খুবই পরিষ্কার যে মার্কস একজন দার্শনিক বা মতাদর্শিক ছিলেন না এবং সেমতে, তিনি কখনো কোনো মতাদর্শ উৎপন্ন করেননি যা লেনিনের শিষ্যরা দাবী করছেন। সুতরাং, মার্কসবাদ হচ্ছে এক কৃত্রিম সৃষ্টি তাই, ইহা হচ্ছে অসত্য ও ভুয়া কিন্তু হালে মরণাপন্ন অবস্থার ক্ষয়িষ্ণু পুঁজিতন্ত্রকে রক্ষা করতে শ্রমিক শ্রেণীকে কমিউনিজমের মাধ্যমে তাদের মুক্তি বিষয়ে বিভ্রান্ত করতে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী মার্কস বিষয়ে মজুরি দাসদের মধ্যে অসত্য প্রতীতি ও ভুল ধারণা সৃষ্টি করতে একটি রাজনৈতিক প্রচার।
বস্তুত, কোনো সমাজ কারো মস্তিষ্কজাত শিশু নয় বা কোনো সমাজ কারো চিন্তা দ্বারা উৎপন্ন নয় বরং প্রত্যেকে তার নিজ শ্রেণীর স্বার্থে সমাজের বিদ্যমান শর্তাদির অধীনে চিন্তা ও কাজ করে।
নিঃসন্দেহে, একটি শ্রেণী বিভক্ত সমাজে কেহই শ্রেণী ও শ্রেণী স্বার্থের বাহিরে নয়। সুতরাং, শেষ ও চূড়ান্ত শ্রেণী বিভক্ত সমাজ- পুঁজিতন্ত্র সহ একটি শ্রেণী বিভক্ত সমাজে প্রত্যেকে তার শ্রেণী স্বার্থ দ্বারা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করে। কিন্তু, বিদ্যমান শোষণমূলক সমাজকে রক্ষা করার মাধ্যমে শোষকদের স্বার্থের সেবা করতে শোষিত মজুর শ্রেণীকে বিভ্রান্তকরণের জন্য শোষক শ্রেণীগুলোর রাজনৈতিক মোড়লেরা অনেক অনেক মতাদর্শ, দর্শন, ধর্মবিশ্বাস ইত্যাদি উৎপন্ন করার মাধ্যমে চেষ্টা করে আসছে কিন্তু মাস্টার ও লর্ডরা তাদের নিজ নিজ সমাজকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তদানুযায়ী, শোষিত শ্রমিক শ্রেণীর শ্রেণী সংগ্রামের ফলাফলে শেষত পুঁজিতন্ত্র থাকবে না।
বস্তুত, প্রকৃতি জয়ে কার্যকর তবে নিরবছিন্ন শান্তির একটি শ্রেণীহীন- রাষ্ট্রহীন সমাজ- কমিউনিজম হচ্ছে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণী ও শোষিত শ্রমিক শ্রেণীর বিরোধের ফল।
অতীতের সমাজগুলোর পরিবর্তনের প্রকৃত সত্য জানতে ইতিহাসকে অনুসন্ধান করতে মার্কসের নিকট অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি ছিল ইতিহাস কিন্তু, পুঁজিপতি শ্রেণী ও শ্রমিক শ্রেণী উভয়ের কার্যাদি ও ভূমিকা সহ পুঁজির ক্ষমতা ও পুঁজিকে জানতে পুঁজিতন্ত্র ছিল মার্কসের মূল কেন্দ্রবিন্দু; এবং শেষত পুঁজিতন্ত্রের পরিণতি। তিনি শ্রমিক শ্রেণীর সাথে ছিলেন অতঃপর, শোষণমূলক স্বার্থ দ্বারা তিনি আটক ছিলেন না তাই, তিনি মুক্ত ছিলেন খোলাখোলি দেখতে সেমতে একজন বিজ্ঞানী হিসাবে এই সকল সূত্রগুলি সূত্রায়িত ও ব্যাখ্যা করতে সামাজিক বিষয়াবলীকে খোলাখোলিভাবে অর্থাৎ বৈজ্ঞানিকভাবে তিনি পর্যবেক্ষণ ও গণনা করেছিলেন।
অতঃপর, মার্কস কিন্তু তার মস্তিষ্ক হতে নয় বরং সমাজের বাস্তবতা হতে প্রকৃত ঘটনা তদন্ত, অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ করেছেন তবে সমাজ হতে প্রাপ্ত প্রকৃত ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে তিনি তার মস্তিষ্ককে ব্যবহার করেছেন বৈজ্ঞানিকভাবে চিন্তা করতে। তদানুযায়ী, পুঁজির গোপনীয়তা আবিষ্কার করার মাধ্যমে পুঁজির কোড এবং ঐতিহাসিক ঘটনাবলী আবিষ্কার করার মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের কোড তিনি সূত্রায়িত ও অবসিত করছেন বৈজ্ঞানিকভাবে। উল্লেখ্য, কোনো কিছু সৃষ্টি বা পরিবর্তনের কোড হচ্ছে বিজ্ঞান।
অতঃপর, সমাজতন্ত্র নয় তার মতামত বা কল্পনা বা স্বপ্ন বা তার মস্তিষ্কের ক্রিয়া যেমনটা মিথ্যাবাদী ও প্রতারক লেনিনের শিষ্যরা দাবী করে আসছে যে মার্কস ছিলেন একজন অসাধারণ ব্যক্তি এবং তিনি ছিলেন তথাকথিত মার্কসবাদের প্রণেতা এবং সেমতো তথাকথিত মহা মার্কসবাদী লেনিনের খুব উর্বর মস্তিষ্কের ক্রিয়ার ফল ছিল ইউ এস এস আর কিন্তু দুঃখিত, তারা কেবলমাত্র মিথ্যাবাদী নয় বরং মানবজাতির মধ্যেকার বিভাজন, প্রভেদ ও বৈষম্য সংরক্ষণ এবং ন্যায্যতা দিতে কতিপয়কে অসাধারণ আর অন্যান্যদেরকে সাধারণ গণ্য করার জন্য বর্বর দাস সমাজের বর্বর শাসকদের রাজনৈতিক ধারণাও তারা ধারণ করেছে।
নিশ্চয়ই, দাস ও সামন্ত উভয় সমাজ যে কারণে টিকে নাই সেই একই কারণে পুঁজিতন্ত্র টিকবে না। বস্তুত, উৎপাদন, পরিবহন ও যোগাযোগের উপায়াদির সামাজিক মালিকানা ভিত্তিক একটি নতুন সমাজের মাধ্যমে উৎপাদনের উপায়াদির উপযুক্ত ও যথাযথ ব্যবহারের জন্য মূলান্তে ব্যক্তিগত সম্পত্তি তবে পণ্য, বেচা-কেনা, মজুরি দাসত্ব, শোষণ, শ্রেণী ও শ্রেণী শাসন ভিত্তিক পুঁজিতন্ত্রের সামাজিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে পুঁজিতন্ত্রী শ্রেণী কর্তৃক সৃজিত উৎপাদনের নতুন নতুন উপায়াদির বিদ্রোহ-পুনঃপুন মন্দার ফলাফল দ্বারা পুঁজিতন্ত্রের ঐতিহাসিক পরিণতি হচ্ছে সমাজতন্ত্র।
পুনরপি, বাঁচার জন্য সমাজতন্ত্র একটি উত্তম সমাজ তদানুযায়ী মার্কস সমাজতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন এবং সেমতে কেবলমাত্র কাল্পনিক ধারণা নয় বরং শোষক পুঁজিপতি শ্রেণীকে রক্ষা করতে খুবই খারাপ পুঁজিতন্ত্রকে রক্ষণে কমিউনিজমের বিজ্ঞানকে আড়াল করতে কমিউনিস্ট মার্কসকে অবমূল্যায়িত করতে রাজনীতিকদের উদ্দেশ্যজাত ও বদমতলবজাত রাজনৈতিক প্রচারণা অথবা কমিউনিস্ট মার্কস ও তার আবিষ্কার- কমিউনিজমের বিজ্ঞান বিষয়ে একদম অজ্ঞতা হচ্ছে তিনি বিবৃত উত্তম সমাজের চিত্র এঁকেছেন।
সুতরাং, দুনিয়ার সকলের স্বাধীনতা ও মুক্তির একটি সমাজ হচ্ছে কমিউনিজম তাই, কমিউনিজম কেবলমাত্র বিজ্ঞান পক্ষীয়, বিজ্ঞান বান্ধব ও বিজ্ঞান প্রিয় একটি বৈজ্ঞানিক সমাজ নয় বরং একটি বন্ধুবৎসল ও প্রেমময়ী সমাজও তাই, সকলেই কেবলমাত্র একটি বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার সম্পর্কাধীন নয় বরং কমিউনিজমে প্রত্যেকে ভালবাসা ও মিলন সহ যেকোনো কিছু করতে মুক্ত তাই, ইহা পৌরাণিক কাহিনী, ধর্মমত, আদর্শবাদ, দর্শন, রাজনীতি, রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্র এবং অপরাপর সকল শ্রেণী হাতিয়ারাদি হতে মুক্ত তবে পূর্ণ মানবিকবোধ সম্পন্ন একটি এক ও অবিভক্ত মানবজাতি সহ সামাজিক উৎপাদন ও তথ্য যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধনে দুনিয়ার সকলের জন্য সকলের দ্বারা এবং সকলের একটি বিশ্ব সমিতি সহ যোগাযোগ, পরিবহন ও উৎপাদনের উপায়াদির সামাজিক মালিকানা হচ্ছে কমিউনিজমের ভিত্তি তাই, পণ্য, পুঁজি, বেচা-কেনা, মজুরি দাসত্ব, শোষণ, শ্রেণী ও শ্রেণী শাসন হতে মুক্ত একটি অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক সমাজ - কমিউনিজমের জন্য একাকী শ্রমিক শ্রেণী দ্বারা একটি কমিউনিস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে উৎপাদন ও বিনিময়ের উপায়াদির মালিকানা- সম্পত্তির পুঁজিতান্ত্রিক মালিকানা দ্বারা পুঁজিপতি শ্রেণীর নিকট থাকা পুঁজি উৎপন্নের উদ্দেশ্যজাত একটি উৎপাদন পদ্ধতি- পুঁজিতন্ত্রী উৎপাদন পদ্ধতির বিলোপনের মাধ্যমে মানুষ কর্তৃক মানুষের শাসনের সমাপ্তিসাধনে শোষণ শেষ করতে মজুরি দাসত্ব সমাপ্তকরণে পুঁজিপতি শ্রেণীকে বিলুপ্তকরণে ইহার বিরুদ্ধ লড়াই করতে দুনিয়ার শ্রমিকদেরকে একতাবদ্ধকরণে শ্রমিক শ্রেণীর একটি পার্টি- একটি কমিউনিস্ট পার্টি গঠনে কমিউনিস্ট আন্দোলন পুনর্গঠনে সহায়তা করতে কাজ করতে বিষাক্ত লেনিনবাদকে বর্জন করার মাধ্যমে আমরা শ্রমিকের মুক্তির জন্য তথ্য কেন্দ্র এর সদস্যরা মার্কস কর্তৃক আবিষ্কৃত ও এ্যাংগেলস কর্তৃকও ব্যাখ্যাত কমিউনিজমের পক্ষে।
শ্রমিক শ্রেণীর পার্টি সমেত সকল প্রকার শ্রেণী হাতিয়ারাদি; এবং সকল ধরণের মাস্টার, শাসক, নেতা, মোড়ল , গুরু এবং তাদের শিকলাদি -ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে উদ্ভূত বিধি-বিধান, প্রথা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ইত্যাদি হতে মুক্তির জন্য মানুষ কর্তৃক মানুষের শোষণ শেষ করার জন্য মজুরি দাসত্ব বিলীন করতে পুঁজি বিলীনে পণ্য উৎপাদন শেষ করতে বেচা-কেনা শেষ করার জন্য একাকী শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক একটি কমিউনিস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে যোগাযোগ, পরিবহন এবং উৎপাদনের উপায়ের সামাজিক মালিকানার জন্য সম্পত্তির পুঁজিতান্ত্রিক মালিকানা বিলীন করার মাধ্যমে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণীকে বিলুপ্তকরণে ইহার বিরুদ্ধে লড়াই করতে দুনিয়ার শ্রমিকদেরকে একতাবদ্ধ করতে শ্রমিক শ্রেণীর একটি পার্টি গঠন করতে কমিউনিস্ট আন্দোলনকে পুনর্গঠন করতে পুঁজিতন্ত্র ও কমিউনিজম বিষয়ে আমাদের উপসংহার ও অনুসন্ধানকৃত মতামত তবে কমিউনিজমের বিজ্ঞানের ভিত্তিতে আলোচনা, শেয়ার ও বিনিময় করতে সকল আগ্রহীগণ স্বাগত।
উল্লেখ্য, আই সি ডব্লিউ এফ(#icwf) এর মূল শ্লোগান হচ্ছে বিজ্ঞান, বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞান। অতঃপর, আই সি ডব্লিউ এফ এর মটো হচ্ছে বিজ্ঞান জানা , বিজ্ঞান বুঝা, বিজ্ঞান গ্রাহ্য করা এবং বিজ্ঞান অনুশীলন করা। উল্লেখ্য, আই সি ডব্লিউ এফ ইহার “ মৌলিক ধারণা ও নিয়ামাবলীতে” কমিউনিজমের বিজ্ঞানের পক্ষে ইহার অবস্থান ঘোষণা করেছে।
অতঃপর, কমিউনিজমের বিজ্ঞানের ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষা করা ছাড়া মার্কস সহ কারো কোনো লেখা সমর্থন ও গ্রাহ্য করতে আই সি ডব্লিউ এফ সম্মত নয়।
সুতরাং, কমিউনিজমের বিজ্ঞানের পক্ষে হচ্ছে আই সি ডব্লিউ এফ।
শাহ্ আলম
সদস্য-
শ্রমিকের মুক্তির জন্য তথ্য কেন্দ্র
You tube: EMANCIPATION- icwf
e-mail: icwfreedom@gmail.com
Mobile: 88+0171-5345-006 # 88+0164-2616-686.
Dhaka: 21,February, 2021.
ঢাকাঃ ২১, ফেব্রুয়ারী, ২০২১।
বাংলায় অনুবাদ- ২২, এপ্রিল, ২০২১।

Comments

Popular posts from this blog

ABOUT WORKERS EMANCIPATION

The reactionary Capitalist class as a whole is passing its time with extreme fear and anxiety

Leftists are for the public interest but…