পুঁজিতন্ত্র

 



পুঁজিতন্ত্র

➡️ব্যক্তিগত সম্পত্তিমূলী কিন্তু বেচা-কেনা, মজুরি দাসত্ব , শ্রেণী ইত্যাদি ভিত্তিক একটা বিশ্ব বাজার সহ অসংখ্য পণ্যের একটি বৈশ্বিক সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র।
➡️পুঁজিতন্ত্রী উৎপাদন পদ্ধতি- একটি পদ্ধতি তবে সূত্রপাত হতে চিহ্নিত হয় দুটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য দ্বারা যা হচ্ছে: (১) ইহার প্রোডাক্ট ইহা উৎপন্ন করে পণ্য হিসাবে; এবং (২) উৎপাদনের নির্ণায়ক প্রণোদনা ও প্রত্যক্ষ লক্ষ্য হিসাবে উদ্বৃত্ত-মূল্য উৎপাদন এর একটি আধুনিক সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র।
➡️অপরিশোধিত শ্রম- পুঁজি গঠনে পণ্য উৎপন্নে একটা মটো সহ আধুনিক শিল্পের একটি সমাজ
হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র।
➡️সামন্ত প্রভুগণ- একটি পরজীবী শাসক শ্রেণীসহ একটি প্রকৃতি নির্ভর, স্ব -নির্ভর, স্থানীয় ও খুবই দরিদ্র অর্থনীতি তবে ইতিহাসে দ্বিতীয় শ্রেণী বিভক্ত সমাজ- সামন্ত সমাজের ধ্বংসস্তুপ হতে উত্থিত একটি শোষণমূলক সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র।
➡️সমৃদ্ধি ও প্রাচুর্যের একটি সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র কিন্তু সেখানে আছে পুঁজিতন্ত্রের ধনীক শ্রেণী - পুঁজিপতি শ্রেণীর একটি কৃত্রিম সৃষ্টি -দারিদ্রতা। সুতরাং,পুঁজিতন্ত্রে গরীব আছে কারণ সেখানে ধনী আছে তাই, ইতিহাসের প্রথম শ্রেণী বিভক্ত সমাজ-বর্বর দাস সমাজের বর্বর মাষ্টারগণ কর্তৃক পত্তনকৃত ব্যক্তিগত সম্পত্তির কারণে, শ্রেণী, শ্রেণী বিভাজন ও শ্রেণী শাসনের কারণে পুঁজিতন্ত্রে এমনকি সে· দ্বারাও মানব জাতির মধ্যে বিভাজন, অসমতা এবং বৈষম্য আছে ।
➡️পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে বেচা-কেনার একটি সমাজ তাই, আবশ্যকীয় পণ্যাদি ক্রয় করতে টাকা ছাড়া কেহ বাঁচতে পারে না পুঁজিতন্ত্রে। অতঃপর, ভোগ-ব্যবহারের জন্য সর্বাধিক পণ্য ক্রয় করার জন্য প্রত্যেকেই টাকার পিছনে ঘুরছে ও দৌড়াচ্ছে ইহাকে ধরতে তবে একজন পুঁজিপতি হিসাবে বিদ্যমান থাকতে পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদি দ্বারা পুঁজিতন্ত্রের বিধি-বিধান অনুসরণ করে পুঁজি পুঞ্জিভবণের জন্য পুঁজিপতিরা এমনকি জীবন হারানোর ঝুঁকি নিয়ে তাদের টাকার পরিমাণ বাড়াতে যেকোনোভাবে টাকা শিকারের জন্য ঘুরছে ও দৌড়াচ্ছে। নিশ্চয়ই, বেঁচে থাকতে ভোগ-ব্যবহারের জন্য কিছু জিনিষ প্রয়োজন কিন্তু, একটি মানুষের জীবন কেবলমাত্র খাওয়া বা পণ্যাদি ভোগ-ব্যবহার করার জন্য একই হেতুবাদে টাকা শিকার করা দ্বারা বেঁচে থাকতে টাকা শিকার করার জন্য একটি টাকা বৃক্ষ হিসাবে বাঁচার জন্য নয় তবে অসংখ্য ব্যক্তির, প্রধানত শোষিত মজুরি দাসদের দুর্ভোগ ও দুর্দশা তৈরী করার মাধ্যমে টাকার পিছনে দৌড়ানো ও ঘুরার দ্বারা লোভী ও এক-চোখা পুঁজিপতিরা তাদের জীবনকে টাকা বৃক্ষ হিসাবে তৈরী করছে।
➡️কেবলমাত্র ব্যক্তিগত নয় বরং পুঁজি হচ্ছে একটি সামাজিক ক্ষমতা তবে মৃত শ্রম- পুঁজির গোলাম - শোষক পুঁজিপতি শ্রেণী- একটি শাসক শ্রেণী সহ পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে একটি আধুনিক সমাজ। বস্তুত, পুঁজিতন্ত্রী গোলামদের মাস্টার হচ্ছে পুঁজি। অতঃপর, কার্যত পুঁজি দ্বারা শাসিত হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র। তাই, পুঁজিতন্ত্রে সর্বাধিক শক্তিমান- পুঁজি দ্বারা শাসিত তবে একটি আধুনিক ও বৈশ্বিক সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র। সুতরাং, পুঁজিতন্ত্রী হিসাবে বিদ্যমান থাকতে পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদি অনুসরণ ও গ্রাহ্য করার মাধ্যমে পুঁজিতন্ত্রী স্বার্থের রাজনৈতিক ভৃত্যদের দ্বারা তৈরীকৃত পলিসিসমূহ অনুসরণ করা বৈ শোষক পুঁজিপতি শ্রেণীর কিছুই করার নাই।
➡️পণ্যের অপরিশোধিত অংশ- পুঁজির উৎপাদক তবে পুঁজিপতি শ্রেণীর উৎপন্ন একটি শোষিত, নিপীড়িত ও শাসিত শ্রেণী- শ্রমিক শ্রেণী সহ একটি সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র। উল্লেখ্য, একটি পণ্যের আছে ২টি উপাদান যা এইঃ(১) প্রাকৃতিক সম্পদ; এবং (২) শ্রম। তবে, বিনিময় নয় তবে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহারিক মূল্য আছে তাই, একটি পণ্যের মূল্য হচ্ছে শ্রম যা মজুরি দাসদের দ্বারা একটি পণ্যে একত্রিত করা হয়। কিন্তু, কোনো মজুরি দাস তার শ্রম বিক্রি করতে পারে না তবে, পুঁজি গঠনে পণ্য উৎপন্নে মজুরি দাসেরা তাদের শ্রম-শক্তি বিক্রি করে আর পুঁজি গঠনে পণ্য উৎপন্নে শ্রম-শক্তির দাম -মজুরি প্রদান করার দ্বারা মজুরদের শ্রম -শক্তির ক্রেতা হচ্ছে পুঁজিপতিরা। নিশ্চয়ই, শ্রম-শক্তির মূল্য- মজুরি কিছুই না তবে শ্রম-শক্তি উৎপন্নের খরচ। সুতরাং, শ্রম-শক্তির ক্রিয়া -শ্রম যা মজুরেরা তাদের কর্মস্থলে তাদের ক্রিয়া শুরু করার মাধ্যমে একটি পণ্যে সমাবেশিত ও একত্রিত করে তার দাম পুঁজিপতিরা দেয় না, বস্তুত, কার্ইো সুযোগ নাই শ্রম বেচা-কেনা করার তাই, কোনো পুঁজিপতি শ্রমের জন্য পরিশোধ করে না, তবে পুঁজি গঠনে পণ্য উৎপাদনে শ্রম-শক্তির ক্রেতা কর্তৃক মজুরদেরকে পরিশোধিত, মজুরি গ্রহণ করার মাধ্যমে মজুরি দাসদের দ্বারা উৎপন্ন পণ্যাদির মালিক হচ্ছে মজুরি দাসদের শ্রম-শক্তির ক্রেতারা এবং সেমোতাবেক পণ্যের ২টি উপাদানের ১টি - শ্রমের জন্য কোনো কিছু পরিশোধ না করেই পুঁজিপতিরা পণ্য বিক্রি করে ইহার মূল্য হাসিল করে।
অতঃপর, একটি পণ্যের দাম হতে ইহার মোট উৎপাদন খরচ বিয়োগের ফলাফল হচ্ছে পুঁজি যার জন্য বর্ণিত পুঁজিপতি কিছু পরিশোধ করেনি তাই, কিছুই নয় বরং পুঁজি হচ্ছে অপরিশোধিত শ্রম অথবা উদ্বৃত্ত-মূল্য যা একটা পণ্য উৎপাদনের জন্য শ্রম-শক্তির ক্রেতাদের নিকট হতে মজুরী দাসেরা মজুরি হিসাবে গ্রহণ করে তার সমপরিমাণ মূল্য উৎপন্ন করার পর মজুরী দাসেরা তাদের উদ্বৃত্ত-সময়ে উৎপন্ন করে। তাই, মজুরি হচ্ছে একটি পণ্যের মূল্যের এক ভগ্নাংশ যা মজুরি দাসেরা তাদের সমগ্র কর্ম সময়কালের একটা সময়ে উৎপন্ন করে তাই, মজুরি দাসদের কর্তৃক উৎপন্ন একটি পণ্যের একটা অংশ মজুরি দাসদের শ্রমশক্তির ক্রেতারা পরিশোধ করে কিন্তুক্রেতারা একটি পণ্যের মূল্যের একটা অংশ পরিশোধ করার মাধ্যমে ক্রেতারা একটি পণ্যের মোট মূল্য হাসিল করে অতঃপর, অবশিষ্ট মূল্য তথা পুঁজিপতিদের অর্জিত একটি পণ্যের অপরিশোধিত অংশ হচ্ছে পুঁজি সুতরাং, পুঁজি কিছুই নয় বরং একটি পণ্যের অপরিশোধিত অংশ তাই, পুঁজি কিছুই নয় তবে শোষিত মজুরি দাসদেরকে শোষণের ফল এবং তদানুযায়ী, পুঁজিপতিরা হচ্ছে শোষক।
➡️শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক উৎপন্ন , অসংখ্য পণ্যের একটি সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র কিন্তু সব পণ্যের মালিক হচ্ছে পুঁজিতন্ত্রী শ্রেণী যা হচ্ছে সম্পূর্ণত অন্যায়, অন্যায্য ও অযৌক্তিক তবে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণীর রাজনৈতিক ভৃত্য - শাসকদের তৈরীকৃত আইনে বৈধ তাই, কেবলমাত্র অন্যায় এবং অন্যায্য নয় বরং একটি স্ব-বিরোধী সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র সুতরাং পুঁজিতন্ত্রের ভিত্তি হচ্ছে সম্পূর্ণত অন্যায়, অন্যায্য এবং স্ব-বিরোধিতা। সুতরাং, পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে শোষণ, লুটপাট,চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, দুর্নীতি, ঘুষ, মিথ্যা, প্রতারণা, জালিয়াতি, দখল-বেদখল, হত্যা, নিষ্ঠুরতা, হিংস্রতা, ধর্ষণ, অপরাধ, সাজা, ঝগড়া ও স্বশ্রস্ত্র বিরোধ, এবং আরো অনেক বাজে বিষয়াদির একটি সমাজ বস্তুত, একটা যুদ্ধ-যুদ্ধ পরিস্থিতি সহ একটি যুদ্ধ প্রবণ সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র।
➡️শোষণের ফল- পুঁজির জন্ম সূত্রে শ্রেণী বিরোধ ও শ্রেণী সংগ্রাম সহ পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে একটি সমাজ। উল্লেখ্য, পণ্যের অপরিশোধিত অংশ- পুঁজির জন্ম সূত্রে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণী ও শোষিত শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যকার সম্পর্ক হচ্ছে বৈরীতামূলক অতঃপর, পুঁজিপতি শ্রেণী ও শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে বিরোধ হচ্ছে স্থির তাই, শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক উৎপাদিত তবে পুঁজিপতি শ্রেণী কর্তৃক ব্যবহারিক ও বিনিময় মূল্য যুক্ত একটি বস্তু- পণ্যের অযৌক্তিক , অন্যায় ও অন্যায্য মালিকানার হেতুবাদে পুঁজিপতি শ্রেণী এবং শ্রমিক শ্রেণী মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।
➡️উল্লেখ্য, দুনিয়ার সকলের জন্য সকল সক্ষম ব্যক্তি কর্তৃক উৎপন্ন সকল সামাজিক প্রোডাক্ট এবং আবশ্যকীয় সকল তথ্য আদান-প্রদান ও সমন্বয়সাধনে উৎপাদন, পরিবহন ও যোগাযোগের উপায়াদির সামাজিক/সাধারণ মালিকানা ভিত্তিক তাই, ব্যক্তিগত সম্পত্তিবানদের স্বার্থের সেবা করতে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সংরক্ষণে ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে উৎপত্তিকৃত রাষ্ট্রজন্ম শর্তে শোষক- শাসক শ্রেণীর সর্বাধিক শক্তিশালী পীড়নমূলক মেশিন ছাড়া কিছুই নয় তাই শোষিত শ্রেণীকে দমন-পীড়নে শিকলাবদ্ধকরণে প্রচুর শিকলের এক বড় বান্ডিল- রাষ্ট্র সমেত রাজনৈতিক সংগঠন সমূহ, রাজনৈতিক দল, রাজনীতি সমাপ্তিসাধনের মাধ্যমে পণ্য, মজুরি দাসত্ব, বেচা-কেনা, শোষণ, পুঁজি, শ্রেণী ও শ্রেণী শাসন হতে মুক্ত সমানদের একটি বৈজ্ঞানিক সমাজ- কমিউনিজম হচ্ছে পরিপক্ক উভয় পুঁজিপতি শ্রেণী ও শ্রমিক শ্রেণীর বিরোধের ফসল।
➡️পুঁজিতন্ত্র বিলোপনের জন্য বুড়ো পুঁজিতন্ত্রী সমাজের অপ্রয়োজনীয় শ্রেণী কিন্তু পরজীবীপুঁজিতন্ত্রী শ্রেণীর কবর খোদক শক্তি -শ্রমিক শ্রেণী সহ সকল আবশ্যকীয় শর্তাদির উৎপাদক হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র। বস্তুত, একটি প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণী- পুঁজিপতি শ্রেণী কর্তৃক আরোপিত তবে পুঁজিপতি শ্রেণীর বিদ্যমানতার শর্তাদি এবং পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদির হেতুবাদে দুনিয়ার সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সবচেয়ে প্রভাবক ঘটনা- কমিউনিস্ট বিপ্লব দ্বারা পুঁজিতন্ত্রকে প্রতিস্থাপনে একমাত্র বিপ্লবী শ্রেণী হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণী তাই, সাধারণভাবে দুনিয়ার সকলের সর্বাধিক কল্যাণ করার জন্য সর্বাধিক ব্যবহার করতে প্রকৃতিকে জয় করতে কিন্তু কাজ করবে নতুন সমাজ- কমিউনিজম দ্বারা পুঁজিতন্ত্রী সম্পত্তি বিলোপনের মাধ্যমে ইহার বিলোপনের দ্বারা ইহার চূড়ান্ত গন্তব্য স্বীকার করতে প্রস্তুত নয়।
➡️পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে একটি শ্রেণী বিভক্ত সমাজ তবে ইহা হচ্ছে শেষ ও চূড়ান্ত শ্রেণী বিভক্ত সমাজ। কারণ, পুঁজি ও পুঁজিতন্ত্র উভয়ের অদৃশ্যায়নের কারণ হচ্ছে পুঁজি এবং তদানুযায়ী, শ্রমিক শ্রেণী সহ বিদ্যমান শ্রেণীগুলো অদৃশ্য হবে।
➡️পুরো মানব জাতির জন্য একটা অনুভূতি- মানবিকতার পূর্ণ অনুভূতি সহ একটি একক ও অবিভাজিত মানবজাতি সহ একটি অত্যাধুনিক সমাজ- কমিউনিজমের ভিত্তি হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র।
➡️পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাবলী হচ্ছে : (১) পুনরুৎপাদন; এবং (২) সঞ্চালন হেতু এবং তদানুযায়ী পুঁজিতন্ত্র যখন বৃদ্ধ হয়েছে তখন উপনিবেশিক নীতি তার গুরুত্ব হারিয়েছে কিন্তু পুঁজিতন্ত্রী উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ- উপনিবেশিক নীতি অনুসরণ করে বিপ্লবী পুঁজিতন্ত্রী শ্রেণী কর্তৃক পুঁজিতন্ত্র বৈশ্বিকভাবে বিকশিত হয়েছে তাই, মন্দা এড়ানোর দ্বারা যুদ্ধ এড়ানোর জন্য বাজারের উপনিবেশিক বাধাসমূহ দূরীভূতকরণের জন্য কতিপয় বৈশ্বিক সংগঠন গঠন করার মাধ্যমে পুঁজিতন্ত্রী বিশ্বায়নের রাজনীতি ও পলিসি অনুশীলন করার দ্বারা বৈশ্বিকভাবে পণ্য ও পুঁজির মুক্ত চলাচল তথা মুক্তবাজার অর্থনীতি চর্চা করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তিসাধনের জন্য অক্ষম ও প্রতিক্রিয়াশীল পুঁজিপতি শ্রেণীর রাজনৈতিক সেবক- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয়ীগণ কর্তৃক উপনিবেশিক নীতিটি শেষ হয়। উল্লেখ্য, পুঁজিপতি শ্রেণীর বিদ্যমানতার শর্ত- উৎপাদনের যন্ত্রপাতির অবিরাম বৈপ্লবীকরণ এবং পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাবলীর হেতুবাদে পুঁজিতন্ত্রের অনিরাময়যোগ্য ও অপরিহারযোগ্য ব্যাধি- মহা মন্দা ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ।
➡️পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে একটি আধুনিক শিল্পজাত সমাজ এবং তদানুযায়ী যাহা সহ ইহা প্রবর্তিত ও বিকশিত হয়েছে : (১) একটি বাজার; (২) আধুনিক পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা; (৩) আর্থিক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা; (৪) পুঁজিতন্ত্রী সংস্কৃতি- বৈশ্বিকভাবে বেচা-কেনার একটি সংস্কৃতি: ( ৫) স্টক কোম্পানী গঠনঃ উৎপাদনের আয়তনের ও উদ্যোগ সমূহের বিপুল সম্প্রসারণ , যা ছিল ভিন্ন ভিন্ন একক মূলধনের পক্ষে অসম্ভব এবং সেমোতাবেক পুঁজি নিজে নির্ভর করে উৎপাদনের একটি সামাজিক পদ্ধতির উপরে এবং ধরে নেয় উৎপাদনের উপায় এবং শ্রম শক্তির সামাজিক কেন্দ্রীভবন যা এখানে সামাজিক পুঁজির একটি রূপ সহ প্রত্যক্ষভাবে সমৃদ্ধ হয় অতঃপর এটা হল পুঁজিতান্ত্রিক উৎপাদনের সীমানার মধ্যেই ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে পুঁজির বিলুপ্তি। বস্তুত, ইহা ছিল পুঁজির সামাজিক মালিকানা সূচনার দ্বারা ব্যক্তিগত সম্পত্তির সীমাবদ্ধতা ও হ্রাসকরণ নির্দেশক এবং তদানুযায়ী ইহা শোষক পুঁজিপতি শ্রেণীর ব্যবহারানুপোযোগিতা ও অপ্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ ও নিশ্চিত করেছে; (৬) পুঁজিতন্ত্রী উৎপাদন পদ্ধতিকে চলমান রাখার জন্য মানবিক টুলস উৎপন্নে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা ; (৭) আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি; (৮) গণতন্ত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য নীতি- ইহলৌকিকতা প্রবর্তন করার মাধ্যমে দৈব অধিকার অস্বীকার করার মাধ্যমে দৈব ক্ষমতা অধিকারীদের উপেক্ষা, অস্বীকার ও পদচ্যুত করার দ্বারা ভোটারদের দ্বারা নির্বাচিত একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারসহ একটি আধুনিক রাষ্ট্র সহ একটি রাজনৈতিক পদ্ধতি- গণতন্ত্র; (৯) আধুনিক আইনশাস্ত্র; (১০) রাজনৈতিক দল; (১১) আধুনিক মিডিয়া; (১২) জীবানুস্ত্র সমেত গণ বিধ্বংসী অস্ত্রপাতি: ( ১৩) পুঁজিতন্ত্রী সম্পত্তি সম্পর্কের বিরুদ্ধে এবং উৎপাদনের আধুনিক শর্তাদির বিরুদ্ধে উৎপাদন শক্তির বিদ্রোহ- অতি উৎপাদনের মহামারি- পুনরুৎপাদনের ফল- মন্দা; (১৪) বিশ্ব যুদ্ধ; (১৫) রাষ্ট্রের ডিফাংক্ট অবস্থা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে পুঁজিতন্ত্রী বিশ্বায়নের রাজনীতিকে গ্রাহ্য করার দ্বারা টেক্স·-ট্যারিফ সমেত আর্থ-সামাজিক পলিসি তৈরী ও বাস্তবায়ন করার জন্য বৈশ্বিক সংগঠন তাই, জাতি রাষ্ট্র হচ্ছে মৃত এবং সেমোতাবেক গণতন্ত্র হচ্ছে মৃত; (১৬) পুঁজি গঠনে পণ্য উৎপন্নে শ্রমিকদের সম গুরুত্ব নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মূল্য হ্রাসকরণের মাধ্যমে সামাজিক শ্রম দ্বারা পণ্য উৎপন্নে শ্রম বিভাজন তৈরী করার মাধ্যমে মানুষের সাথে মানুষের সমতার বৈজ্ঞানিক ধারণা এবং সে মোতাবেক পুঁজিতন্ত্রী উৎপাদন ব্যবস্থায় পণ্য উৎপন্নকরণে শ্রমিকেরা হচ্ছে আন্তঃনির্ভরশীল; (১৭) সমাজ পরিবর্তনের কোড এবং পুঁজির কোড আবিষ্কারের মাধ্যমে কমিউনিস্ট মার্কস কর্তৃক আবিষ্কৃত কমিউনিজমের বিজ্ঞান এবং ইহা এ্যাংগেলস কর্তৃকও ব্যাখ্যাত; (১৮) বর্তমানে পুঁজিতন্ত্র মরণাপন্ন কিন্তু বুড়ো বা পূর্ণ বিকশিত পুঁজিতান্ত্রিক সমাজের রাষ্ট্রের চূড়ান্ত অবস্থা যা ছিল তার বিবর্তিত তবে সর্বশেষ ধরণ- ফ্য্যাসিস্ট রাষ্ট্র হিসাবে শোষিত শ্রমিক শ্রেণীকে দমন-পীড়নের জন্য খুবই অভিজ্ঞ তবে রাষ্ট্রগুলোর ডিফ্যাংক্ট অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য গণতন্ত্রের মৃত অবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অনুভূতি, মূল্যবোধ ও রাজনীতিকে উপেক্ষা, অস্বীকার ও পরিত্যাগ করার মাধ্যমে দাসোচিত বোধের পুনঃপ্রবর্তন ও প্রসার সাধনের জন্য প্রজাদের ও দাসদের পূর্ণ ও পরম বাধ্যবাধকতা ও আনুগত্য উপভোগ করার মাধ্যমে দাস সমাজের শোষক শাসক শ্রেণীর রাজনৈতিক ভৃত্য- শাসকেরা শাসক হিসাবে বিদ্যমান থাকতে সমাজে হিংসাত্মক আবহ সৃজনের জন্য ধর্মান্ধতা, মৌলবাদ ইত্যাদি নোংরা রাজনৈতিক ধারণা যা বর্বর দাস সমাজের বর্বর শাসকেরা প্রবর্তন করেছিল সেসবের পুনঃপ্রবর্তন । উল্লেখ্য,ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে উৎপত্তিকৃত, শোষক-শাসক শ্রেণীর সর্বাধিক শক্তিশালী নিপীড়নমূলক যন্ত্র- রাষ্ট্র কিন্তু যদি কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি না থাকে, সেখানে রাষ্ট্রের কোনো উপযোগিতা নাই এবং সেমোতাবেক পুঁজিতন্ত্রের ঐতিহাসিক পরিণতি- কমিউনিজম হচ্ছে ব্যক্তিমালিকানা বিহীন একটি আধুনিক সমাজ তাই, কমিউনিজম হচ্ছে সম্পত্তির সামাজিক মালিকানা ভিত্তিক রাষ্ট্রহীন একটি সমাজ; ( ১৯) দাস ও সামন্ত উভয় সমাজের নিষ্ঠুর ও খুনি শাসকদের দ্বারা প্রবর্তিত মানব জাতির একজন সদস্য হিসাবে মানুষের মর্যাদা উপেক্ষা ও অস্বীকার করতে কার্যকরী তবে ক্ষতিকর, লজ্জাজনক, কল্পকথা এবং অবৈজ্ঞানিক পিরামিড সংস্কৃতি সমেত নানান প্রথা, সংস্কৃতি ইত্যাদির পুনঃপ্রবর্তন; এবং (২০) পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদির হেতুবাদে পুনঃপুন মন্দার চাপ এবং ভয়ানক ও অনেক ভারে সমাজ শাসনে অক্ষমতা ও পুনঃপুন ব্যর্থতার হেতুবাদে উন্মত্ততা, পাগলামি ও উন্মাদনা সহ চরম হিংসার জঘন্য রাজনৈতিক ধারণা দ্বারা সমগ্র পুঁজিপতি শ্রেণী একটি অক্ষম ও প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণী আচ্ছন্ন হয়েছে।
➡️নিশ্চয়ই, পুঁজিতন্ত্রী উন্নয়নের সুবিধাভোগী হচ্ছে পুঁজিতন্ত্রের পরজীবী শ্রেণী- শোষক পুঁজিতন্ত্রী শ্রেণী যা পুঁজিতান্ত্রিক স্বার্থের রাজনৈতিক ভৃত্য- শাসকদের দ্বারা প্রণীত আইন দ্বারা বৈধ তবে সম্পূর্ণত অন্যায় ও অন্যায্য। অতঃপর, পুঁজিতন্ত্রী উন্নয়ন হতে শোষিত শ্রমিক শ্রেণী হচ্ছে বঞ্চিত যদিচ, সকল পণ্যের উৎপাদক হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণী। কিন্তু, মজুরি দাসত্ব ভিত্তিক , বেচা-কেনার একটি সমাজ- পুঁজিতন্ত্রে কেহই ভোগ-ব্যবহারের জন্য টাকা ছাড়া কোনো পণ্য কিনতে পারে না। উল্লেখ্য, শ্রমিকেরাও তাদের শ্রম-শক্তি উৎপন্নের খরচ -মজুরি গ্রহণ করার মাধ্যমে মজুরী দাসদের পণ্য- শ্রম-শক্তির বিক্রেতা ।
➡️সম্পত্তির একটি স্ব-বিরোধী মালিকানা- পুঁজিতন্ত্রী সম্পত্তি ভিত্তিক একটি আধুনিক সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র অতঃপর, সম্পত্তির বিদ্যমান স্ব-বিরোধী মালিকানা হতে উৎপত্তিকৃত, বিদ্যমান সকল সমস্যা সমাধান করতে উৎপাদনের আধুনিক যন্ত্রপাতির যথাযথ ব্যবহারের জন্য উৎপাদন ও বিনিময়ের উপায়াদি- সম্পত্তির সামাজিক মালিকানা দ্বারা সম্পত্তির সামঞ্জস্যপূর্ণ মালিকানা দ্বারা বৈজ্ঞানিকভাবে সমাজের বিকাশ সাধনে এক অপরিহারযোগ্য শর্ত হচ্ছে পুঁজিতন্ত্রী সম্পত্তির বিলোপন।
➡️পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে একটি আধুনিক সমাজ এবং তদানুযায়ী, ইহা নতুন নতুন পণ্যাদি উৎপন্নে উৎপাদনের নতুন নতুন যন্ত্রপাতি উৎপন্ন করছে তাই, পুঁজিতন্ত্রের অপরিহারযোগ্য ও অনিরাময়যোগ্য ব্যাধি- মন্দা হয় এখানে যা হচ্ছে পুঁজিতন্ত্রী ব্যবস্থায় নৈরাজ্য সহ শ্রম অস্থিরতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং আরো অনেক কিছু সহ এমনকি যুদ্ধ- একটি সংগঠিত হত্যা, ধর্ষণ, ধ্বংসযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ, লুট-পাট, দখল-বেদখল ইত্যাদির কারণ এবং সে মোতাবেক, মন্দা দ্বারা কিছু পুঁজিপতি তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হারায় তাই, শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক অর্জিত উৎপাদন, পরিবহন ও যোগাযোগের উপায়াদির সামাজিক মালিকানা হচ্ছে পুনঃপুন মন্দার ফল। সুতরাং, পুঁজিতন্ত্রের পতন ও কমিউনিজমের উত্থান সমানভাবে অনিবার্য। অতঃপর, সকলের মুক্ত বিকাশের জন্য শর্ত হচ্ছে প্রত্যেকের মুক্ত বিকাশের একটি ব্যবস্থা - সকল সক্ষম ব্যক্তি কর্তৃক দুনিয়ার সকলের জন্য সকল সামাজিক প্রোডাক্ট উৎপাদন ও তথ্য সংক্রমিতকরণ ও সমন্বয়সাধনে দুনিয়ার সকলের জন্য সকলের দ্বারা এবং সকলের একটি বিশ্ব সমিতি সহ পূর্ণ মানবিকবোধ সম্পন্ন একটি অবিভাজিত ও একক মানবজাতি সহ সমানদের একটি বৈজ্ঞানিক সমাজ- কমিউনিজমের ভিত্তি হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র। অতঃপর, পুঁজিতন্ত্রের ঐতিহাসিক পরিণতি- কমিউনিজম হচ্ছে দুনিয়ার সকলের স্বাধীনতা ও মুক্তির একটি সমাজ।
➡️পুঁজিপতিদেরও অসম প্রতিযোগিতার একটি সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র কারণ, সকল পুঁজিপতি সমান সম্পত্তির মালিক নয় তাই, পুঁজিপতিরা তাদের পণ্য বিক্রি করতে বাজারের জন্য সকল পুঁজিপতি মুক্ত , ন্যায্য ও সমানভাবে প্রতিযোগিতার জন্য একটি সমান লেভেলের খেলার মাঠ নয় পুঁজিতন্ত্র কারণ, ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভিত্তিক একটি সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র। বরং, একজন পুঁজিপতি হিসাবে টিকে থাকতে অনেক পুঁজিপতিকে হত্যা ও ধ্বংস করতে পারে একজন পুঁজিপতি। সুতরাং, এমনকি প্রত্যেক পুঁজিপতি তার সম্পত্তি যা পুঁজিপতিরা অযৌক্তিকভাবে দখল করে আছে তা বাজারে হারানোর ভয় ও ঝুঁকিতে আছে তাই, তাদের কেহ উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা হতে মুক্ত নয় সুতরাং, পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে নিশ্চিত অনিশ্চয়তার একটি সমাজ তাই, একটি বাজে ও নোংরা সমাজ- পুঁজিতন্ত্রে কেহই নিরাপদ ও সুরক্ষিত নয়। বস্তুত, একটি ফোবিয়া- বিষন্নতায় প্রায় ভোগে পুঁজিপতিরা এবং একজন মানুষের পুনঃপুন বিষন্নতার ফল হচ্ছে উন্মত্ততা, স্বয়ংঘাতি, সিজোফ্রেনিয়া ইত্যকার পুঁজিতন্ত্রী ব্যাধি।
➡️পুঁজিপতি শ্রেণীর বিদ্যমানতার শর্তাদি এবং পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাবলীর হেতুবাদে অগণন সমস্যার একটি সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র তাই, পুঁজিতন্ত্রের সমস্যাদি সমাধানের কোনো সুযোগ পুঁজিতন্ত্রে নাই। সুতরাং, একাকী শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক কমিউনিস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে সামাজিক মালিকানার দ্বারা পুঁজিতন্ত্রী সম্পত্তিকে অদৃশ্যায়িতকরণের মাধ্যমে শোষক পুঁজিতন্ত্রী শ্রেণীকে চিরতরে বাতাসে নিক্ষেপ করার মাধ্যমে পুঁজিকে অদৃশ্য করা হচ্ছে পুঁজিতন্ত্রী সমস্যাবলী সমাধানের একমাত্র অপসন।অতঃপর, পুঁজিতন্ত্রী সকল সংকট ও সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যক্তিগত সম্পত্তি হতে উৎপত্তিকৃত, পুঁজিতন্ত্রী সম্পত্তি সংরক্ষায় পুঁজিপতি শ্রেণী কর্তৃক তৈরীকৃত সকল শিকল হতে মুক্তি পাওয়ার জন্য একমাত্র অপসন হচ্ছে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণী ও শ্রমিক শ্রেণীর চূড়ান্ত বিরোধ- কমিউনিস্ট বিপ্লব বৈ আর কিছু নয়।
➡️ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভিত্তিক একটি সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র কিন্তু জয়েন্ট কোম্পানী, ষ্টক মার্কেট, সম্পত্তির রাষ্ট্রীয়করণ ইত্যাদি সৃষ্টি করার মাধ্যমে পুঁজির কেন্দ্রীভবন সাধন করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত মালিকানাকে ক্রমাগত সংকোচিত করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত মালিকানার সীমাবদ্ধতা প্রমাণ করার মাধ্যমে ইহার অপ্রয়োজনীয়তার জন্য পুঁজিতন্ত্রের শাসক শ্রেণী- শোষক পুঁজিপতি শ্রেণীর অপ্রয়োজনীয়তা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সামাজিক মালিকানার পথ প্রশস্তকরণের জন্য কাজ করছে পুঁজিতন্ত্রী উৎপাদন পদ্ধতি। সুতরাং, সম্পত্তির স্ব-বিরোধী তবে পুঁজিতন্ত্রী মালিকানার ফলাফল হচ্ছে সম্পত্তির সামাজিক মালিকানা ভিত্তিক একটি সমাজ- কমিউনিজম তাই, কমিউনিজমের ভিত্তি হচ্ছে ক্যাপিট্যালিজম সুতরাং, কমিউনিজম হচ্ছে অনিবার্য ও অপরিহারযোগ্য তাই, মরণাপন্ন পুঁজিতন্ত্রকে রক্ষা করতে যে কারো কোনো প্রয়াশ বা প্রচেষ্টা হচ্ছে একটি প্রতিক্রিয়াশীল কাজ সুতরাং, যে কোনো প্রতিক্রিয়াশীলের এমন প্রতিক্রিয়াশীল কাজ হবে একটা নিস্ফলা তবে মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর কাজ যদিচ, পুঁজিতন্ত্র এখনো বিদ্যমান কারণ, কমিউনিজমের জন্য দুনিয়ার সবচাইতে বড়, সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচাইতে প্রভাব বিস্তারক ঘটনা- কমিউনিস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে পুঁজিতন্ত্রকে প্রতিস্থাপনে দুনিয়ার শ্রমিকেরা একতাবদ্ধ নয়।
পুঁজির জন্মসূত্রে শোষক পুঁজিপতি শ্রেণীর বিরুদ্ধে যৌক্তিকভাবে শোষিত শ্রমিক শ্রেণীর শ্রেণী সংগ্রামের একটি সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র। শ্রেণী ও শ্রেণী শাসন হতে মুক্ত একটি অত্যাধুনিক সমাজ- কমিউনিজম হচ্ছে শ্রমিক শ্রেণীর যৌক্তিক শ্রেণী সংগ্রামের ফলাফল তাই, কোনো কিছু এমনকি ভালোবাসা ও মিলন যা কিছু একজন মানুষ করতে পছন্দ করে তা না করার জন্য বাধ্য করতে অথবা কোনো কিছু করতে কাউকে নিষিদ্ধ করতে শাসন করতে সেখানে কোনো শাসক নাই। সুতরাং, পুঁজিতন্ত্রের প্রতিস্থাপন- কমিউনিজম হচ্ছে সকলের ভালোবাসাময় ও বন্ধুত্বপূর্ণ একটি সমাজ তাই, ইহা হচ্ছে স্বাধীনতা ও মুক্তির একটি সমাজ।
➡️ন্যায্য নয় তবে পুঁজিতন্ত্র হচ্ছে একটি সমাজ যা সমাজ পরিবর্তনের নিয়ম অনুসারে ছিল এক ঐতিহাসিক প্রয়োজনীয়তা কিন্তু, অন্যায্য পুঁজিতন্ত্রের ঐতিহাসিক পরিণতি হচ্ছে একটি ন্যায্য ও শান্তিপূর্ণ সমাজ কারণ, সেখানে ব্যক্তিগত সম্পত্তি নাই, শ্রেণী নাই, শ্রেণী শাসন নাই, শ্রেণী বিভাজন নাই, মানবজাতির মধ্যে বৈষম্য নাই, স্বার্থের সংঘাত নাই, ঝগড়া নাই, যুদ্ধাস্ত্র সমেত যুদ্ধাবাহিনী ও যুদ্ধ নাই, মতাদর্শ নাই, দর্শন নাই, ধর্ম নাই, রাজনীতি নাই, রাজনৈতিক সংগঠন নাই, রাষ্ট্র নাই, শাসক নাই, পথ-প্রদর্শক নাই, অর্চনা নাই, গুরু নাই, বীর নাই, কিন্তু, দুনিয়ার সকলের জন্য একটি মানবিক অনুভূতি- সমানুভূতি দ্বারা প্রত্যেকের দ্বারা প্রত্যেকে সমভাবে আচরিত হয়। অতঃপর, ইতিহাসে প্রথমবার প্রকৃতার্থে মানব জাতি পূর্ণমানবিক বোধ সহ মানুষ হবে কমিউনিজমে।
➡️পুঁজিতন্ত্রকে অদৃশ্যকরণের জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে কাজ করার জন্য শ্রমিক শ্রেণীর জন্য সকল আবশ্যকীয় তথ্য উৎপন্নকারী, উৎস ও ভান্ডার হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র।
➡️ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভিত্তিক একটি আধুনিক সমাজ হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র তবে ব্যক্তিগত সম্পত্তির নেতিকরণ সহ ইহা যাত্রা শুরু করেছিল এবং সম্পত্তির সামাজিকীকরণের মাধ্যমে পুঁজিপতি শ্রেণীর বিদ্যমানতার শর্ত ও পুঁজির অস্তিত্বের শর্তাদির হেতুবাদে পুঁজিতন্ত্রী উৎপাদনের কিছু নতুনতম যন্ত্রপাতির হেতুবাদে বৈশ্বিক কিছু সিন্ডিকেটের দ্বারা পুঁজির কেন্দ্রীভবন দ্বারা ব্যক্তিগত সম্পত্তির নেতিকরণের নেতিকরণ দ্বারা চূড়ান্তভাবে ইহা তার ভ্রমণ শেষ করবে ।
➡️পুঁজিতন্ত্র নিজে হচ্ছে পুঁজিতন্ত্রের অস্তিত্বহীনতার কারণ ।
➡️পুঁজিতন্ত্র বিলোপনের মাধ্যমে পুঁজিপতি শ্রেণী কর্তৃক আরোপিত অনিবার্য ও অপরিহারযোগ্য ঘটনা- কমিউনিস্ট বিপ্লব দ্বারা একাকী শ্রমিক শ্রেণী কর্তৃক বিজিত একটি বৈশ্বিক তবে বৈজ্ঞানিক সমাজ- কমিউনিজমের জন্মভূমি হচ্ছে পুঁজিতন্ত্র তবে, কমিউনিজম হতে কমিউনিজম বিকাশের স্থান হচ্ছে কমিউনিজম। সুতরাং, পুঁজিতন্ত্র অদৃশ্য হবে।
শাহ্ আলম
সদস্য:
Information Centre For Workers Freedom
ঢাকাঃ ১৮-০১-২০২২ খ্রীঃ।
বাংলা অনুবাদঃ ০২-০৫-২০২২ খ্রীঃ।
𝐖𝐞𝐛𝐬𝐢𝐭𝐞:www.icwfreedom.org
𝐌𝐨𝐛: 0171-5345-006

Comments

Popular posts from this blog

CAPITALIST SOCIETY

LOVE AND MARRIAGE